রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
খাল-বিল ভরাটের ফলেই নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হয়েছে গাজায় মসজিদ-স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২৪ আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু নেত্রকোণায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯২৭ বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের জন্য হচ্ছে ‘স্পেশাল লাউঞ্জ’ ‘হেলমেট বাহিনীর’ সদস্য মনিরুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার ‘সাধারণ মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে’ শেরপুরে বন্যায় ৪ মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের সারা দেশে দুই লক্ষাধিক আনসার মোতায়েন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পর এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাতের সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে জামায়াত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি

মিঠাপুকুরে ড্রেজার দিয়ে কাটা হচ্ছে নদীর মাটি

রংপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা ও আট পুনিয়া ও তরফ সাদী এলাকায় বাঁধ দিয়ে নদী দখল ও ড্রেজার দিয়ে কাটার উৎসবে মেতেছেন কিছু প্রভাবশালী। ভাটার পাড়া গ্রামের রউফ মিয়ার ছেলের গালিবের নেতৃত্বে তারা যমুনেশ্বরী প্রশাখা নদী কাটাফাঁড়ি দখলে নেমেছেন। গত ১৫ দিন ধরে ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা, আটপুনিয়া, তরফ সাদী এলাকায় এ অপতৎপরতা চলছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর আগে বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে নদীতে চর জেগে উঠেছে। জেগে ওঠা ওই চরসহ এর পার্শ্ববর্তী প্রবহমান নদীর পানি চলাচলের অংশে বাঁধ দেয়া হয়েছে। সরকারি জায়গা জবর দখলের এই চেষ্টা চালাচ্ছেন ভাটার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে গালিব মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ।

যমুনেশ্বরী নদীটি বড় বালা, মিলনপুর ও বালুয়া-মাসিমপুরসহ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। বাঁধ নির্মাণ ও দখলের কারণে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বালুয়া মাসিমপুর ওই তিনটি ইউনিয়নের ওপর। এক সময় এই নদী ছিল খুবই খরস্রোতা। বর্তমানে এর বিপুল অংশ পলি ও কাদামাটিতে ভরাট হয়ে গত এক যুগ ধরে এর বাঁক পরিবর্তন হয়ে গেছে।

বড়বালা ইউনিয়নের আট্পুনিয়া পশ্চিম বড়বালা ও শীবপুর সেতু থেকে সোজা দক্ষিণে চৌধুরী গোপালপুর বাজার পর্যন্ত গিয়ে পূর্ব দিকে বাঁক পরিবর্তন হয়েছে। এরপর বাঁক হয়েছে কেশবপুর হয়ে দুর্গাপুর বাজার এলাকায় অংশেও। জানকিপুর থেকে গুটি বাড়ি ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত এই ভরাট কার্যক্রমের মধ্যে পড়েছে।

বড়বালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আমজাদ আলীর বাড়ির সামনে জেগে ওঠা চরটিও দখলের অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে চরে রিংবাঁধ দেয়া আছে। তবে সেই রিংবাঁধ সরিয়ে আরো কিছুটা অংশ দখলে নিয়ে নতুন রিংবাঁধ দেয়া হয়েছে। নতুন রিংবাঁধের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানির স্রোত। এই স্রোত এখন বাধাগ্রস্ত হয়ে দক্ষিণ দিকে বাঁক নিচ্ছে।

জোয়ার ভাটার পানির ধাক্কা লাগছে পাশের ইউনিয়ন বালুয়া মাসিম পুর ও পাটনিপাড়া পয়েন্টে পাউবোর বেড়িবাঁধে। গুটিবাড়ি বেড়িবাঁধেও চলছে এইচবিবি দ্বারা উন্নয়নকাজ। চলতি অর্থবছরে গুটি বাড়ি থেকে পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটারে ইট বসানো হয়েছে। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এর জন্য ৬৭ লাখ টাকাও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে করে নদী দখলের পাশাপাশি ওই রাস্তাটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

এ ব্যাপারে বালুয়া মাসিমপুর ইউপি চেয়াম্যান শাহজান ওরফে শাহাজাদা জানান, বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক। মাটির বাঁধ দেয়া হচ্ছে নদীর মাঝখানে এসে। পানির গতি পড়বে চরমুকিমপুরে। বর্ষার সময় মারাত্মক ভাঙন দেখা দেবে। উজানমিলনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন জানান, নদী নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা আর কত দিন? একজন জবরদখলকারীর কারণে বালুয়া মাসিমপুরসহ এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে?

মিলনপুর ইউপির চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, এটি মারাত্মক ধৃষ্টতা। আমি দেখতে গিয়েছিলাম। রিংবাঁধ দেয়া হচ্ছে যমুনেশ্বরী নদীর একদম বরাবর। এটি অপসারণ না হলে কোনো এক সময় যমুনেশ্বরী নদীর অস্তিত্ব বিলীন হবে।

বালুয়া মাসিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান শাহাজানআলী ওরফে শাহাজাদা জানান, যমুনেশ্বরী রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নদী হচ্ছে জীবন্ত সত্তা। এগুলোকে জবর দখল থেকে মুক্ত রাখতে হবে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন জানান, নদী ও চর দখলের বিষয়ে জেনেছি। অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com