রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকায় যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে হবে আজ সেনা ও র‌্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি, গ্রেফতার ৬ ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা সুখবর পেতে পারেন পূজার ছুটি শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে : ইশরাক সমালোচকদের স্বাগত জানিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা বেতার যন্ত্রপাতি আমদানি, ব্যবহার ও বাজারজাতে নতুন নির্দেশিকা লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বিমানে পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করলো ইরান জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আওয়ামী লীগের আইনেই করতে হবে মায়ের মৃত্যুর খবরে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ২ বোনের ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর মারা গেল ছেলেও ১৯ বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন আজ রোনালদোর ৯০৬, পর্তুগালের টানা তৃতীয় জয় পাবনায় আ.লীগের হামলায় বিএনপির ২৫ কর্মী আহত শেবাচিম হাসপাতালে আগুন: নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিট ব্রাজিলে ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময় আজ দৌলতদিয়ায় আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবককে কুপিয়ে হত্যা বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে রাখা এলপিজি বহনকারী জাহাজে আগুন সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয় : ইসি আলমগীর

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদটি লাভজনক নয়। তাই সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন-এর রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে কোনো বাধা নেই।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আইনে আছে যে দুদক কমিশনাররা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক, নাকি লাভজনক নয় এটি নিয়ে একটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আপনাদের আসলে ব্যাখ্যাটি কি-এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমীর বলেন, দুদকের আইনে বলা আছে যে, কমিশনাররা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনারা জানবেন যে, নির্বাচন কমিশন যখন এটা করেছে, তখন আইন কানুন জেনেই এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তখন এটি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।

তিনি বলেন, যেহেতু ওই সময়ে একটি মামলা হয়েছিল এবং ওই মামলায় হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেখানে বলে দিয়েছেন যে, না। এতে কোনো বাধা নেই এবং সেই  আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও হয়নি। অতএব যেহেতু আমাদের সামনে উচ্চ আদালতের একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে লাভজনক পদ বলা যাবে না এবং ওই রায়ে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে বুঝাবে প্রজাতন্ত্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারি তাদেরকে। এটি স্পষ্ট বলা আছে। অতএব এটি উনার (মো. সাহাবুদ্দিন) জন্য প্রযোজ্য নয়। উনার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে আইনগত কোনো বাধা নাই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, একটা জিনিস বুঝতে হবে যে, লাভজনক পদের বিষয়ে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, লাভজনক পদ বলতে কি বুঝায়, যদিও তালিকা দেওয়া নাই। তবে লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ ভাগের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ। তো এখানে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী উনারা কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি না। এগুলো হলো সাংবিধানিক পদ।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, যেহেতু সাংবিধানিক পদ। অতএব লাভজনক পদের ডেফিনেশনে এরা পরে না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলাই হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো, হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের ক্ষেত্রে উনি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে নেওয়ার সময় মামলা হয়, তখন এই মামলাটা খারিজ হয়ে গিয়েছিল এবং আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ নয়। এটি সাংবিধানিক পদ। অতএব এটি তার জন্য বার হবে না।

আজকে (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। তাকে বাছাইয়ের দিন (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট করলেন। আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগটা বন্ধ করে দেওয়া হলো না কি-না বা বিষয়টি আইনসিদ্ধ হলো কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটি অবশ্যই আইনসিদ্ধ। আইনে স্পষ্ট লেখা আছে যে, যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে এবং মনোনয়নপত্র বাছাই করার পরে যদি দেখা যায় যে, উনার মনোনয়নপত্র সঠিক আছে, বৈধ আছে। তাহলে ওই সময় তাকে নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দেবেন। এটির জন্য আর প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নাই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মো. আলমগীর আরো বলেন, আমরা কখনো বলিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমরা বলেছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কখন ভোট হবে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com