কখনও পুলিশ সদস্য, আবার কখনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন রুবেল হোসেন (৩৬)। আবার শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন মাধ্যমে সেই ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করাই ছিল তার (রুবেল) পেশা।
এমনই একজন ভিকটিমের পিতার অভিযোগের পর রুবেল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আসামি রুবেল রাজশাহীর চারঘাট থানার আসকরপুরের মো. ফারুক হোসেনের ছেলে।
পিআইবি জানিয়েছে, আসামি রুবেল ভিকটিমকে পুলিশের এএসআই হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের সরলতা এবং বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে তার (রুবেল) পরিচিত বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে এসব ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। এরপরও একাধিকবার ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজোয়ান জানান, শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে তাকে যশোরের ঝিকরগাছা থানার হাড়িয়া বেলেরমাঠ এলাকার তার ভায়েরা জালাল হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এ ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রুবেল ধর্ষণ ও টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ