শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

দেশ-বিদেশে বিকুল চক্রবর্তীর মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

দেশ-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে চলছেন বিকুল চক্রবর্তী। ইতিমধ্যে তিনি ভারত, ফ্রান্স, ইতালী ও ডেনমার্কে প্রদর্শনী করেছেন। যা প্রবাসী অবস্থানরত হাজার হাজার বাঙালিসহ ওইসব দেশের মানুষ পরিদর্শন করেন।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ বিভিন্ন স্মারকগুলো। ক্রমশই হারাচ্ছি মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রবীণদের। এই অবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন এবং এই সংগৃহিত তথ্য দিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে তা নতুন প্রজন্মকে জানান দিচ্ছেন। 

তিনি জানান, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও অনেকগুলো প্রদর্শনী করেছেন। যা ওই সকল দেশে থাকা বাঙালি, নতুন প্রজন্ম ও সে দেশের নাগরিকরা দেখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী ইতিহাস জানতে পারছেন।

বিকুল চক্রবর্তী জানান, যার ডাকে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, সেই স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুরো বিশ্ববাসীকে জানানোও এখন আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।  বিশেষ করে প্রবাসী নতুন প্রজন্মের কাছে।

প্রথমবারের মতো ইউরোপের মাটিতে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছেন বিকুল চক্রবর্তী। তিনি ২০২২ সালের ৫ জুন ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে আয়োজন করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের ১০০টিরও বেশি ছবি স্থান পায়। 

প্রদর্শনীতে ডেনমার্কে বসবাসরত শতাধিক বাঙালি তাদের নতুন প্রজন্মকে নিয়ে উপস্থিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানেন।

ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামি দাস বলেন, নতুন প্রজন্মকে জানান দিতে সুদূর বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে  বিকুল চক্রবর্তী আয়োজন করেন মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। যা ডেনমার্কে বসে আমাদের গৌরবের ইতিহাস জানতে পারলাম। ছেলেমেয়েরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা নিয়েছে। এটা কোন দিন ভাবতেও পারিনি। এ প্রদর্শনীর ফলে প্রবাসী বাঙালিদের দেশপ্রেম বেড়েছে।

ডেনমার্কের পর বিকুল চক্রবর্তী গত বছরের ৮ জুন ইতালীর রাজধানী রোমের সেন্তসেললে পার্কে  আয়োজন করেন আরও একটি মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

আয়োজক অঞ্জন দেবনাথ ও নোবেল সাহা জানান, ইতালীতে এই প্রথম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। এটি প্রদর্শনীর ফলে ইতালিতে বসবাসরত এ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পেরেছে। এই প্রদর্শনীটি উন্মুক্তস্থানে হওয়ায় বাঙালির পাশাপাশি হাজার হাজার ইতালিয়ান নাগরিকও তা পরিদর্শন করেন।

একই বছরের ১২ জুন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের পর্কদ্যাপান্থায় বিকুল চক্রবর্তী আয়োজন করেন মুক্তিযুদ্ধের আরও একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীটিও বাংলাদেশীর পাশাপাশি অসংখ্য বিদেশী নাগরিক পরিদর্শন করেন।
 
এ ব্যাপারে ফ্রান্স প্রবাসী সুশিল বনিক জানান, পর পর ইউরোপের তিনটি বড়দেশে বিকুল চক্রবর্তী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে একটি  ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। কারণ তিনিই প্রথম ইউরোপের মাটিতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। তিনি জানান, এ প্রদর্শনী আমাদের দেশাত্মবোধ আরও বেগবান করেছে।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার কুমদ রঞ্জন দেব জানান, শুধু আলোকচিত্র নয় বিকুল চক্রবর্তীর প্রচেষ্টায় সংরক্ষিত হয়েছে অনেকগুলো বধ্যভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় অনেক স্থান। এসব কর্মকাণ্ডে একাত্তরের পরে জন্মগ্রহণ করেও তিনি আমাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধের অংশীদার করেছেন নিজেকে।

এর আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহরে ও দেশে আরও ৫২টি এক্সিবিউশন করেন বিকুল চক্রবর্তী। তিনি জানান, এই এক্সিবিউশনগুলো করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় নানাভাবে বাঁধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন। তবুও তিনি পিছিয়ে থাকেননি। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানান দিতে সংগ্রহ করছেন তথ্য এবং তা দিয়ে আয়োজন করে যাচ্ছেন একের পর এক আলোকচিত্র ও স্মারক প্রদর্শনী।

বাংলা৭১নিউজ/এআরকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com