পানির অভাবে রাজশাহীতে বোরো ধানে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা। এতে ধান উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। পদ্মার বুকে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চর জেগে উঠায় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
এ অবস্থায় সেচ কম লাগে এমন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের বোরো ধানের চারা রোপণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে বাঘা, চারঘাট, পবা ও গোদাগাড়ী পদ্মা নদীসংলগ্ন। চার উপজেলায় শত শত একর আবাদি জমির পাশাপাশি রয়েছে চরাঞ্চল। সেই চর ও নদীসংলগ্ন আবাদি জমিতে কৃষকরা ব্যস্ত সেচ-নির্ভর বোরো ধান রোপণে।
কিন্তু এখন পদ্মার পানি কমায় জমিতে সেচের পানি দিতে পারছেন না কৃষকরা। এতে বোরো ধান উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তাই বাধ্য হয়ে কেউ কেউ পাম্প বসিয়ে সেচ কাজ চালাচ্ছেন।
বাকি ৫ উপজেলার অধিকাংশ কৃষক বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিপ টিউবওয়েলের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সিরিয়াল অনুযায়ী সেচের পানি না পাওয়া, অনেক ডিপ টিউবওয়েল মাসের পর মাস নষ্ট হয়ে থাকার পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণে সেচের পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. মো. মোতালেব হোসেন বলেন, কৃষকদের উফশী জাতের চারা রোপণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে; এতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।
জেলায় ৬৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এখান থেকে ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত বছর জমিতে সেচের পানি না পেয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই কৃষক আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ডিপ টিউবওয়েল অপারেটরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি