বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পুলিশের জ্যাকেট পরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সাংবাদিক সজীবকে সিলেটের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে রংপুর রিজার্ভ চুরির অর্থ দেশে ফেরাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে কমিশন বদ্ধপরিকর: সিইসি ছাত্রশিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ১২ কর্মকর্তা ১৯ জন উদ্ধার না হতেই ফের ৭ অপহরণ! স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার, শেখ হাসিনার ফাঁসি দাবি নতুন বছরে দেশবাসীর জন্য তারেক রহমানের বার্তা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে শামীমের লড়াই, তবু খুলনার কাছে হার চট্টগ্রামের দেশ কোনো দলকে ইজারা দেওয়া হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলামের পণ্য কেনা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মেরামত করতে আরেকবার যুদ্ধে অংশ নিতে হবে ৫৫ বছরে বাগদান সারলেন সোহেল তাজ, জানা গেল পাত্রীর পরিচয় পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত থার্টিফার্স্ট নাইটে বন্ধ থাকবে বার, করা যাবে না নাচ-গান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাড়িবহরে হামলা, আহত ২০ গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল চব্বিশের অভ্যুত্থানে অন্যতম সহযোদ্ধা ছিল ছাত্রশিবির: সারজিস আলম বিপ্লব নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র থেমে নেই: মঞ্জুরুল ইসলাম

লালদিঘী গণহত্যা দিবস: যেভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

১৯৮৮ সালের এ দিনে (২৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলি চালানো হয়, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার। সে সময় শেখ হাসিনাকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেন তার ২৪ জন একনিষ্ঠ নেতা কর্মী।  

১৯৮৮ সালের এই দিনে লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী  শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করেছিল তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশ বাহিনী।

সে সময় শেখ হাসিনার ওপর গুলি করার সময় অসাবধানতাবশতঃ এক পুলিশ সদস্যের রাইফেলের কানেকশন বেল্ট খুলে পড়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেন্ড ব্যবধানেই গুলিবর্ষণ শুরু হয়।

ততক্ষণে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী ও নেতা-কর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে কর্ডন করে আইনজীবী সমিতি অফিসে নিয়ে রক্ষা করেন। যদিও এর মধ্যে অকাতরে ঢলে পড়েন অনেক নেতা-কর্মী।

সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জন নেতাকর্মীর।

নিহতরা হলেন মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথেলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী  মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম এবং অধিকতর তদন্তশেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কোতোয়ালী জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে সি মন্ডল, কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন। এদের মধ্যে তিন আসামি মারা গেছেন। ২০০০ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৫ আসামি সাবেক ৫ পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

১৯৮১ সালের ১৭মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকে এ পর্যন্ত তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে মোট ১৯বার। এর মধ্যে এরশাদ আমলে চেষ্টা করা হয়েছে দুই বার। ২৪ জানুয়ারির হামলাটি ছিল প্রথম হামলা। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com