৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু হতে আর মাত্র ৯ দিন বাকি। আগামী ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে বইমেলার। ৩১ জানুয়ারি বইপ্রেমীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হবে।
সেদিন স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। স্পেনের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া জোসে গালভেজ সালভাদরও উপস্থিত থাকবেন সেখানে। পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।
৪৬তম বইমেলায় দেশ-বিদেশের প্রায় সাতশ স্টল এবং দুশো লিটল ম্যাগাজিনের স্টল থাকবে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং প্যারীচরণ সরকারের নামে বইমেলায় আরও দুটি স্টল থাকছে। এবার বইমেলায় ‘থিম কান্ট্রি স্পেন’। গত দুবার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ ছিল।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ মোট ৪৩ টি প্রকাশনী সংস্থা। মেলা উপলক্ষে শুত্রুবার কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘আগামী ৩০ জানুয়ারি দুপুর ২টায় উদ্ধোধন হবে ৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। বইমেলার উদ্ধোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উপস্থিত থাকবেন স্পেনের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া জোসে গালভেজ সালভাদর। উদ্ধোধনের মঞ্চ থেকে সিইএসসি সৃষ্টি সম্মানে পুরস্কৃত করা হবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে।
এবারের বইমেলায় প্রথম বারের মতো অংশগ্রহণ করছে থাইল্যান্ড। ত্রিদিব বাবু আরো জানান, ‘এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন তৈরি হচ্ছে সারে তিন হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে। বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু ভবনের আদলে প্যাভিলিয়নটি তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ দিবস পালিত হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন বাংলাদেশ থেকে যোগ দেবেন কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের ব্যক্তিবর্গ।
এবারের বইমেলায় বিশেষ আকর্ষণ মোট ৯ টি গেট তার মধ্যে একটি স্পেনের তোলেদা গেটের আদলে তৈরি হবে। মেলার ভিড়ের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত বাস পরিষেবা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মেট্রোরেলের ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বইমেলার মাঝে দুদিন রোববার হওয়ায় ওই দুদিন চলবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো।
মেলা চলাকালীন অটো ও সিএনজিদের দৌরাত্ম্য কমাতে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে ভাড়া। বইমেলার রুট ম্যাপের জন্য থাকছে বিশেষ এন্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনস। বাড়ানো হচ্ছে সিসিটিভির নজরদারি।
বইপ্রেমীদের জন্য থাকছে বিশেষ লটারির ব্যবস্থা।
এবারের বইমেলায পরিবেশবান্ধব করে তোলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদপ্তর এগিয়ে এসেছেন। সবুজ বইমেলা করার পক্ষে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ