বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানোয় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা পারি।’
যুক্তরাষ্ট্রের রিটজ কার্লটন হোটেলে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি খুব খুশি।’
মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। দলের নেতা-কর্মীরা প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য উৎসুক ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন প্রধানমন্ত্রী।
দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নিজেদের তহবিল থেকে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্তটিও বড় ছিল। এটি দেশের সম্মানের সঙ্গে জড়িত বিষয়। পদ্মার মতো বড় ও খরস্রোতা নদীতে এত বড় সেতু নির্মাণের কাজ করে আমরা বিশ্বের সামনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সদিচ্ছা এবং দৃঢ় সংকল্প থাকলে আমরা যা চাই, তাই করতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি ও কাজ করি। আমরা প্রমাণ করেছি আমরা পারি।’
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপনকারী স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানান।
গত শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো, সেতুটি। সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস