মুন্সিগঞ্জের নয়টি সোনার দোকানসহ ১১টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অর্ধশত ভরি সোনা ও কয়েকশভরি রূপাসহ কয়েকলাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগীরা।
স্থানীয় ও ভোক্তভোগী দোকানদাররা বলেন, প্রতিদিনের বেচাকেনা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করে কেউ বাড়িতে কেউ দোকানে রাত্রিযাপন করছিল। গভীররাতে অস্ত্র নিয়ে বাজারে হানা দেয় ২০-৩০ জনের ডাকাতদল। এসময় দোকানগুলোর তালা ভেঙে ও কয়েকটি দোকানে থাকা মানুষদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে ডাকাতরা।
একসারিতে থাকা নয়টি সোনার দোকানসহ ১১টি দোকান থেকে মোট অর্ধশতভড়ি সোনা, রূপাসহ সমস্ত টাকা লুটে নেয়। এসময় ভোক্তভোগীদের চিৎকার ও মসজিদের মাইকে ডাকাতের কথা বলা হলে বাজারের পাশের নৌপথে ট্রলার যোগে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
স্থানীয়রা জানান, বাজারের বৃষ্টি স্বর্ণালয়, উৎসব গহনালয়, শ্রী দুর্গা গহনালয়, মা সুভাগ্য স্বর্ণ শিল্পালয়, বাবা লোকনাথ স্বর্ণ শিল্পালয়, মিতু স্বর্ণ শিল্পালয়, প্রিয়াঙ্কা গহনালয়, সিঁথি গহনালয়, বিশ্বাস স্বর্ণ শিল্পালয়সহ মেসার্স কালাম স্টোর, বিসমিল্লাহ ফার্মেসিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
উৎসব গহনালয়ের স্বত্বাধিকারী বাসুদেব দাস বলেন, রাত ১১টার দিকে বাসায় আসি। পরে মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতের খবর পেয়ে দৌড়ে দোকানে যাই। গিয়ে দেখি দোকানের সিন্দুক ভেঙে সাত ভরি সোনা, ৭০ ভরি রুপাসহ টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে গেছে।
শ্রী দুর্গা গহনালয়ের সত্ত্বাধিকারী তারক নাথ দে বলেন, আমার দুই কর্মচারী দোকানে ছিল, আমি বাসায় চলে এসেছিলাম। গভীর রাতে ডাকাত এসে আমার কর্মচারীদের হাত পা বেঁধে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। দোকানের দুইটা সিন্ধুকের মধ্যে একটা ভেঙ্গে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও টাকা পয়সা নিয়েছে। আরেকটা ভাঙতে পারে নাই। বাজারে আমাদের স্বর্ণপট্টিতে ৩০টার বেশি দোকান আছে। ১০টা সোনার দোকান ও একটা ফার্মেসিতে ডাকাতি হয়েছে। মসজিদের মাইকে ডাকাতের কথা বলার পর এসে দেখি এই অবস্থা।
টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান বলেন, ধারনা করা হচ্ছে বাজারের পার্শ্ববর্তী খাল দিয়ে ট্রলার যোগে এসেছিল ডাকাতরা। ২০-২৫জন ডাকাত এঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ