বাংলা৭১নিউজ, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রোপা আমন ধানের চারার সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে কিছু চারা মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি দামে। কৃষকদের গত বছরের তুলনায় এবার চারা কিনতে হচ্ছে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি টাকা দিয়ে।
উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়া, কাওয়াক মোড়, বড়হর, মোহনপুরসহ বিভিন্ন বাজারে রোপা ধানের চারা বিক্রি হচ্ছে প্রতি পণ (৮০ আঁটি) ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। গত বছর এ সময় কৃষকরা যা কিনেছিলো প্রতি পণ জাতভেদে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, বন্যায় উল্লাপাড়ায় ১২০ হেক্টর জমির বীজতলা ডুবে যাওয়ায় চারার সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা যায়, চারা বিক্রেতারা ধানের চারা বিক্রি করছেন আটি প্রতি ২০ টাকা। এক টাকা কমেও মিলছে না এ চারা। অনেকেই দেখা গেছে ১৫-১৮ টাকা বলতে কিন্তু তাদের কথায় কর্ণপাত করছেন না বিক্রেতারা।
বড়হর হাটে চারা কিনতে আসা চালা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বলেন, বন্যার কারণে ধানের চারার সংকট দেখা দিয়েছে। যারা বাজারে চারা আনছেন তারা স্বাভাবিক বাজার থেকে অনেক গুণ বেশি দাম হাঁকছেন। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে চারা কিনতে হচ্ছে।
চারা কিনতে আসা সরফত আলী বলেন, ধানের চারা স্বাভাবিক বাজারে ৪০০-৫০০ টাকা পণ বিক্রি করা হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকায়।
তিনি আরো বলেন, বন্যায় ধানক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ক্ষতিসাধন হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু শুরুতে চারার সংকট ও চড়া দামে চারা কিনতে গিয়ে হোঁচট খেতে হচ্ছে।
চারা বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ভাসমান অবস্থায় যে চারা আছে সেগুলো বিক্রি করতে এসেছি।
এবার বন্যার কারণে চারার দাম একটু বেশী হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খিজির হোসেন প্রামাণিক জানান, পর পর দু’বার বন্যার পানিতে ডুবে উপজেলার ১২০ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকজন উঁচু জায়গায় এবং ভাসমান প্রক্রিয়ায় চারা উৎপাদন করতে পেরেছেন। সেগুলোই এখন বাজারে আসছে। স্থানীয়ভাবে এসব চারা কৃষকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তারপরও পাবনা ও বগুড়া থেকে ধানের চারা আমদানি করা হচ্ছে। তবে এসব চারার মূল্য পড়ছে অনেক বেশি। ফলে সাধারণ কৃষকদের জন্য চারা ক্রয় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস