খুলনায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা সোবহান মোল্লাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোবহান মোল্লা বর্তমানে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত। এর আগে তিনি নগরীর খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন রেখে ২০২০ সালের ১২ মে ফারজানা বিনতে ফাকের নামের এক কিশোরীকে তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন। তখন তিনি সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও একাধিকবার মারপিট করে হাসপতালে ভর্তি করেন। উপায় না পেয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর খুলনার নারী ও শিশু শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন স্ত্রী ফারজানা বিনতে ফাকের।
তিনি আরো বলেন, গত ৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক লুৎফর রহমান আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর আদালত এসআই সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর তিনি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। গত বুধবার আদালতে তাঁর আত্মসমর্পণ করার ধার্য দিন ছিল। কিন্তু ওইদিন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেনি। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ