হবিগঞ্জে গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় এক রেল পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আজিজুল হক এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কনস্টেবল রওশন আলী কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রায় ঘোষণাকালে আসামি পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২০ জুন সন্ধ্যায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী লোকাল ট্রেনে (১০৪/১৩/৭১) শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন থেকে চার যুবক শাহাজিবাজার রেলস্টেশনে যান। সেখানে দায়িত্বরত রেল পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় চার যুবক। এ সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের ওপর গুলি চালান। এতে ঘটনাস্থলেই প্রতিবাদকারী যুবক কাজী আলাউদ্দিন নিহত হন। আহত হন আরো দুজন।
হবিগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার মাধবপুর থানার ওসি নিয়াজ মোহাম্মদকে গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। জিআরপি পুলিশের কনস্টেবল আতাউর রহমান, রওশন আলী, জসিম উদ্দিন, আনসার সদস্য আব্দুল মালেক, আছাব আলী, সহিদ মিয়া ও রমিজ উদ্দিনকে নিরস্ত্র করে গ্রেপ্তার করেন ওসি। পুলিশের কাছে তাৎক্ষণিক জিআরপি পুলিশের কনস্টেবল রওশন আলী গুলি করার কথা স্বীকার করেন।
নিহত কাজী আলাউদ্দিনের চাচা মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের কাজী আব্দুল কাদির শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট একটি এজাহার দায়ের করেন। শ্রীমঙ্গল জিআরপি পুলিশের তখনকার ওসি মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ২৬ আগস্ট রেল পুলিশ কনস্টেবল রওশন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ