রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন এখনো চলছে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ, ৩ বাস ভাঙচুর সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: জেলেরা বলছেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী একদল কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: মেয়র তাপস গবেষকদের দাবি: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনের টিকায় কানে নজর কাড়লেন কিয়ারা ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং

সাতক্ষীরায় গরু ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭
  • ২৭১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে : গরুর ব্যবসা করে এখন আর লাভ হয় না। তবে এই ব্যবসা করি কেন জানেন? ভারতে অনেক টাকা পড়ে রয়েছে তাই। এই টাকা আদায় করার জন্য লোকসান করে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ভারতীয়রা যে দাম ধরে গরু পাঠায় সেই দামে গরু বিক্রি করা খুবই কঠিন। আর বাংলাদেশের মাটিতে গরু পা রাখার সাথে সাথে গুনতে হচ্ছে এক কাড়ি চাঁদার টাকা । এই টাকা যাচ্ছে গরুর খাটাল মালিক, অসাধু কিছু বিজিবি সদস্য ,পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতারা। যার ফলে কেউ এর প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। সাতক্ষীরার ঘোনা সীমাস্তে গরুর খাটালে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের একথা গুলো বলেন ব্যবসায়ী বাবলু . ফিরোজ, মশিয়ার,আব্দুর রহমানসহ অনেকে।
এইভাবে সাতক্ষীরার ঘোনা সীমান্তে গরু ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চাঁদাবাজদের কবলে । চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট দফায় দফায় আদায় করছে চাঁদা। গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাষ্টমস এর রাজস্বের ৬ থেকে ৭ গুন টাকা চাঁদা দিতে হয় । আর খাটাল মালিকরা বলছেন, টাকার পরিমাণ বাড়েনি আগের মতই আছে । এভাবে প্রতিদিন সাতক্ষীরা সীমান্তের গরু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় । তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব কোন খোঁজ খবর রাখে না।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরাদের সাথে কথা বলে জানাযায়, সম্প্রতি ঘোনা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে গরু আসছে। সাতক্ষীরার অন্য সীমান্তেও গরু আসছে তবে সংখ্যায় কম। সেখানেও চলছে চাঁদাবাজি। সীমান্তে খাটাল মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা । আর ভারত থেকে গরু চোরাই পথে আসে বলে কেউ এর প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না । গরু ব্যবসায়ীরা জানান, নিয়ম অনুযায়ী ভারত থেকে একটা গরু বাংলাদেশে আসার পর ৫শ টাকা রাজস্ব দিয়ে বৈধ করতে হয় । আর খাটাল মালিকদের দিতে হয় ৫০ টাকা । অথচ খাটাল মালিকরা ৫৫০ টাকার স্থলে আদায় করছেন ৩ হাজার থেকে ৩৫শ টাকা পর্যন্ত । আর ব্যবসায়ীদের নামে গরু করিডোর না করে খাটাল মালিকরা নিজের নামে সব গরু করিডোর করেন । এই টাকার ভাগ অসাধু বিজিবি সদস্য, পুলিশ সদস্য , জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার পকেটে যার যার প্রাপ্য অনুসারে পৌঁছে যায় ।
গরু ব্যবসায়ী তজিবব, শহিদুল , লতিফ সাংবাদিকদের জানান , শুধু ঘোনায় নয় কালিয়ানি, শাখরা কোমরপুর , বৈকারি, তলুইগাছা , কাকডাঙ্গা, মাদরা হিজদি, চান্দুড়িয়া সীমান্তে গরু কম আসলেও খাটালের টাকা নেয় ঘোনা খাটালের চেয়ে দুই একশ টাকা কম বেশি মাত্র ।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, ভারত থেকে যে গরু নিয়ে আসা হয় তার দাম ধরা হয় খুব চড়া । সে দামে গরু বিক্রি করা সম্ভব হয়না । তারপর আবার খাটাল মালিকদের নিয়ম বর্হিভূত চাঁদা আদায় । প্রতিদিন লোকসান করে ব্যবসা করতে হচ্ছে । আর ব্যবসা না করলে তাদের ভারতে পড়ে থাকা লাখ লাখ টাকা আর আদায় হবে না । ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, খাটাল মলিকরা যদি চাঁদার পরিমাণ কমাতো তবে সামনে কোরবানি উপলক্ষে প্রচুর গরু আসতো সে দেশ থেকে । আর দেশীয় বাজারে গরু বেশি আসলে কোরবানির পশুর দাম কমতো ।
এদিকে,খাটাল মালিকরা কাষ্টমস করিডোরে নিজেদের লোক পাঠিয়ে শুল্ক রশিদ কেটে নিয়ে আসে। গরুর পিঠে সিল দেওয়া এবং নাম্বার দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব চলে গেছে খাটাল মালিকদের হাতে। গরু রাখার দায়িত্ব পেয়ে খাটাল মালিকরা সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে। টু-পাইস পাওয়ার কারণে অসাধূ পুলিশ, বিজিবি, চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে খাটাল মালিকরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মোশা সাংবাদিকদের জানান, খাটালে গরু প্রতি ২৫শ টাকা নেওয়া হয় । তার মধ্যে ৫শ টাকা ভ্যাট খরচ । বাকি টাকা তার আনুসঙ্গিগ খরচ হয়।
সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির ঘোনা ক্যাম্পের সুবেদার আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিজিবি শুধু মাত্র সিলিপ লিখে দেন । গরু প্রতি কত টাকা আদায় করা হয় এটা জানার বিষয় নয় বিজিবির । এসবের সাথে বিজিবি জড়িত নয়।
সাতক্ষৗীরা সদর থানার ওসি মারুফ আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ খাটালের অনুমতি দেয় না । যারা অনুমতি দেয় তাদের জিঙ্গাসা করেন কিভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে । যারা অনুমতি দেয় তারা যদি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আমরা সাথে থাকবো ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো: মহিউদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, তারা শুধু মাত্র খাটাল পাহারা দেওয়ার অনুমতি দেয় । অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি কে দেখবে ? যাদের দেখার দায়িত্ব তারা এর সাথে জড়িত কি- না খোঁজ খবর নেন । তবে তার কোন লোক এর সাথে জড়িত নন ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com