ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও অমাবস্যার প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রবল বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। সেই সাথে স্থানীয় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন-চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ নম্বর বিপৎসংকেত ঘোষণার পর থেকে উপকূলের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
শরণখোলা উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে বলেশ্বর নদীতীরবর্তী এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১০ সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালা, চরখালী, তাম্বলবুনিয়াসহ তিনটি টহল ফাঁড়ির অফিস বন্ধ ঘোষণা করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পার্শ্ববর্তী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব অফিসের দুর্বল অবকাঠামোর কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় সাগরের বিশাল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে দুবলা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, ছাপড়াখালী, কটকা, কচিখালী এলাকার বনে। এমন পরিস্থিতিতে বনরক্ষীরা তাদের অফিস ও বনের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছেন। বন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সকল পর্যটককে দুিই দিন আগেই সুন্দরবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলায় ৯১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দল প্রচার-প্রচারণা ও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের বিশাল ঢেউ এসে বনে আঘাত করছে। বনের ওপর থেকে দুই-তিন ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল গতিতে ঝড় হচ্ছে দুবলাসহ সাগরসংলগ্ন এলাকায়। বন বিভাগের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ