দিনাজপুরের সদর উপজেলায় চুরির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রাজু নামে (২৪) এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের বাঙ্গীবেচা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সদর ডাঙ্গার ৩৫ বছর বয়সী সেলিম ও মাঝাডাঙ্গার পূর্বপাড়ার সহোদর ২৫ বছর বয়সী শহীদ ও ২২ বছর বয়সী শাকিল।
নিহত রাজু চিরিরবন্দর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাছের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। তিনি সদর উপজেলার রাজাপাড়া গ্রামের গবরাপাড়ায় নানার বাড়িতে ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছেন।
সূত্র জানায়, এরা বিভিন্ন এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। চুরি, ছিনতাই বা মাদক কেনা-বেচার মতো কাজ করে থাকেন। কোথাও থেকে চুরি করা বা জুয়ার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল থেকে রাজুর সঙ্গে ওই এলাকার কয়েকজনের চুরির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সন্ধ্যার পর রাজুর কয়েকজন বন্ধু তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাঙ্গীবেচা ব্রিজের নিচে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অপরপক্ষের যুবকরা রাজু ও তার বন্ধুদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন।
এ সময় তারা রাজুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। তবে কোথা থেকে কী বা কত টাকা চুরি করে এনেছেন তারা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সংঘর্ষে রাজু ছাড়াও দুই পক্ষের আরো তিনজন আহত হন। স্থানীয়রা রাজুকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে আহত অন্য তিন যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, টাকা-পয়সা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সকাল থেকেই গণ্ডগোল চলছিল। সন্ধ্যার দিকে রাজুকে কয়েকজন বন্ধু বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে ৮-১০ জন অস্ত্র নিয়ে রাজু ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করেন। তার বন্ধুরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও রাজু পালাতে পারেননি। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ