দুষ্টু ছেলেদের ‘গুরু’ নগরবাউল জেমস। তবে আসল নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। তার নাম শুনলেই ভক্তের উন্মাদনা বেড়ে যায়। গুরু হিসেবে খ্যাত জেমসের গান মানেই শ্রোতাদের সীমাহীন উচ্ছ্বাস। আর তিনি যখন কনসার্টে গিটার হাতে গাইতে শুরু করেন, তখন সামনে থাকা হাজারো ভক্তের হৃদয়ে ঝড় ওঠে।
প্রিয় গায়কের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান সবাই। যেন এক অন্য ভুবনে চলে যেতে চায় সবাই।
সবার হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া এই কিংবদন্তি শিল্পী ২ অক্টোবর ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহন করেন। মূলত শুধু নিজ কণ্ঠেই নয়, তিনি একজন গীতিকার, গিটারিস্ট, সুরকার ও অভিনেতা এবং একজন বলিউড নেপথ্য গায়ক। তিনি রক ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। (বর্তমানে নগর বাউল হিসাবে পরিচিত) এর প্রধান গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট, যা তিনি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করলেও, পরবর্তীতে বেড়ে উঠেন চট্টগ্রাম শহরে।
তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা, যিনি পরবর্তীতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সঙ্গীত জেমসের পছন্দের হলেও তার পরিবার তা পছন্দ করত না। গানের জন্য বাবার সাথে অভিমান করে ঘর ছাড়েন তিনি কিশোর বয়সে। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং নামক একটি বোর্ডিং-এ তিনি থাকতে শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সঙ্গীতের ক্যারিয়ার শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, জেমস ব্যান্ডের পাশাপাশি ‘অনন্যা’ (১৯৮৯), ‘পালাবে কোথায়?’ (১৯৯৫), ‘দুঃখিনি দুঃখ করোনা’ (১৯৯৭), ‘ঠিক আছে বন্ধু’ (১৯৯৯) এর মতো হিট অ্যালবাম দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে তার সোলো ক্যারিয়ারও (একক কর্মজীবন) এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি বলিউডের চারটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকও করেন, এগুলো গ্যাংস্টার (২০০৬), ওহ লামহে (২০০৬), লাইফ ইন এ… মেট্রো (২০০৭), ওয়ার্নিং (২০১৩)।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ