নাম তার মো. আজিজুল হক ফকির। একজন জনপ্রতিনিধি। মাদারীপুরের শিরখাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য (মেম্বার)। অথচ তিনি চুরি করেন। তাও আবার ঢাকায় এসে। চুরির জন্য একটি দলও গঠন করেছেন। তাদের নিয়ে রাতের আঁধারে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানে চুরি করেন তিনি।
পুলিশ বলছে, ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আজিজুল হক রাজধানীতে ৫০০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন। সবশেষ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চুরির বিভিন্ন যন্ত্রসহ ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের ঠিক আগে বেনারসিপল্লিতে একটি শাড়ির দোকানে চুরি করেন আজিজুল হক।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে, একদল লোক গাড়ি নিয়ে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় চুরি করছে। এরপর কাফরুল থানা এলাকায় রাতে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে সেনপাড়া পর্বতা ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে আজিজুল হককে প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছে একটি লোহার শাবল, একটি বোল্ড কাটার (তালা কাটার যন্ত্র), দুটি গাড়ির নম্বর প্লেট, তালা, স্ক্রু ড্রাইভার, প্লাস ও ১২টি শাড়ি পাওয়া যায়।
এছাড়া তার কাছ থেকে মোবাইল, প্রেসার মাপার যন্ত্র রাখার ব্যাগ, নগদ দুই হাজার টাকা ও ৪৩৯টি কয়েন উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতার আজিজুল হক তার সহযোগীদের নিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গ্রিল কেটে ৫০০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন। মঙ্গলবারও সেনপাড়া ও পল্লবীর বেনারসিপল্লির শাড়ির দোকানে চুরি করেছেন।
গ্রেফতার আজিজুলের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া মাদারীপুরে একটি চুরির মামলার আসামি তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ