ঘূর্ণিঝড় ইয়ান পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপে আঘাত হানার পর পুরো কিউবা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। কিউবাজুড়ে অসংখ্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিন মাত্রার হ্যারিকেন আঘাত হানার সময় ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এখন এটি ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বৈদ্যুতিক শক্তি কর্তৃপক্ষের প্রধান ঘোষণা করেছেন, জাতীয় বৈদ্যুতিক সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দ্বীপব্যাপী ব্ল্যাকআউট হয়েছে। ফলে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অন্ধকারে রয়েছে।
আগেই জানানো হয়, কিউবার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানা হ্যারিকেন ইয়ান ধেয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। গতকাল এটি ক্যাটাগরি দুইয়ে অবস্থান করছিল। ফ্লোরিডায় আঘাত হানার সময় এটি ক্যাটাগরি-৪-এ রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছিল।
কিউবার হ্যারিকেন সেন্টারের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল ব্রাউন গতকাল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি প্রচণ্ড শক্তিশালী। এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। সন্ধ্যায় এটি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এর প্রভাবে অতিভারী বৃষ্টি হবে। এতে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ৯ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও রয়েছে।
কিউবার পিনার দেল রিও প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। জরুরি কর্মীরা কাজ শুরু করে। কিউবার প্রধান তামাক-বর্ধক অঞ্চলে ফসল রক্ষার জন্যও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ