বাংলা৭১নিউজ, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলার নুরুল্লাপুর এলাকায় পানির তোড়ে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধের ৬০০ ফুট অংশ নদীতে ধসে পড়েছে। ধস ঠেকাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বালুর বস্তা ফেলতে শুরু করেছে।
নুরুল্লাপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত রোববার থেকে পদ্মায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির তোড়ে আজ সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় বাঁধের ৬০০ ফুট সিসি ব্লক নদীতে ধসে পড়েছে। আর ১০০ ফুট ভাঙলে গ্রামের বাড়িঘর ভাঙতে শুরু করবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস সরকার বলেন, সিসি ব্লক দেওয়ায় তাঁরা নিশ্চিন্তে নদীর ধারে বসতি গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু রোববার থেকে হঠাৎ করে ব্লক ধসে পড়তে শুরু করেছে। ভাঙন চলতে থাকলে নুরুল্লাপুর ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রায় ২০০ বাড়িঘর ভেঙে যাবে। তাই তাঁরা রাত জেগে ভাঙনের দিকে খেয়াল রাখছেন।
পাউবোর নাটোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা ভাঙন প্রতিরোধে সকাল থেকে কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পানি কমতে থাকলে ভাঙন বাড়তে পারে। আমরা সতর্ক।’ তিনি জানান, ২০০৭ সালে রাজশাহী পাউবোর তত্ত্বাবধানে ওই এলাকায় পদ্মার উত্তর তীর সংরক্ষণের জন্য সিসি ব্লক ও বালুর বস্তা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। দুর্গত এলাকায় পদ্মার গতিপথ দক্ষিণ থেকে উত্তরে সরে এসেছে। তাই সেখানে ঢেউ সরাসরি আঘাত হানছে। এতে ভাঙন ধরেছে।
লালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বড় ধরনের কোনো ঝামেলা হবে না।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস