মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত রপ্তানি বাড়াতে অঞ্চলভিত্তিক আম প্যাকেজিং হাউজ তৈরিসহ ৮ দাবি ফের যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাতিয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত পিপিপি পদ্ধতিতে দুই বস্ত্রকল চালুসহ ৫ প্রস্তাব অনুমোদন বাচ্চু পরিবার ও লা মেরিডিয়ানের মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন সঞ্জীভা গার্ডেনে ভিডিওকলে শিমুল-‘কসাই’ জিহাদ, দেখাল হত্যার স্থান ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তিতাস-মেঘনা নদীর পানি বাড়ছে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ছিনতাই: দুই পুলিশ সদস্যের দণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ক্ষতি ৮৩ কোটি টাকা কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন পুলিশের ১৮০ সদস্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিদ্যুৎহীন উপকূলের ১ কোটি ৫৫ লাখ পরিবার ‘সভ্য সমাজে এত নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড হতে পারে না’ ঘূর্ণিঝড় রিমাল ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ডিম মজুতের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী টানা বৃষ্টিতে পানি নিচে নিউমার্কেট এলাকা পানির নিচে ঢাকা পান্থপথে ভেঙে পড়েছে গাছ দিনাজপুরে শ্যালিকা হত্যায় দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড খুলনায় উপড়ে পড়েছে শত শত গাছ, ভেঙেছে সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড

পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষীর জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পি কে হালদার ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এদের মধ্যে অবন্তিকা, শঙ্খ, সুকুমার ও অনিন্দিতা কারাগারে আছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। পরবর্তীসময়ে এ টাকা ফেরত না আসায় ওই চার আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ে।

প্রতিষ্ঠান চারটি হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।

ওই চার প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা বের করার আগে শেয়ার কিনে এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন পি কে হালদার। এ আর্থিক কেলেঙ্কারি জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুর দিকে। এর আগেই ২০১৯ সালে দেশ ছাড়েন তিনি।

পলাতক থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর তদন্ত করে দুদক পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমানে এর বাজার মূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এ সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডিতে পি কে হালদারের নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পি কে হালদার তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন করেছেন। যার দাম ১২ কোটি টাকা। পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। নিজের কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে ২ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন আটতলা হোটেল (র্যাডিসন নামে পরিচিত)। যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এছাড়া পি কে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ও অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি, এর বর্তমান দাম ১৬৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদক প্রতিবেদনে বলেছে, পি কে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ কোটি টাকারও বেশি।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com