টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাদরাসাছাত্র সিফাত মিয়া (১৩) হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে গোড়াইল গ্রামবাসী। মানববন্ধনে সিফাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের শত শত মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে কলেজ রোডস্থ প্রেসক্লাবের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে তারা।
এ সময় সিফাতের বাবা শহিদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সাহাদত হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ মিয়া, মির্জাপুর পৌরসভার সদর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সিফাত উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে ও মির্জাপুর আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। গত সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সিফাত তার প্রতিবেশী বন্ধু নূরুল আমিনের সঙ্গে মাঝিপাড়া রেল লাইনের ধারে চটপটি খেতে আসে। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অপরিচিত দুই ছেলে সিফাতকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ত্রিমোহন মাঝিপাড়া রেল লাইনের পাশে ধইঞ্চা ক্ষেতে সিফাতের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর ছেলে আবু তালেব সিদ্দিকী ওরফে তালে সিদ্দিকী ও জামুর্কী ইউনিয়নের কাটরা গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে মেহেতাব মিয়াকে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হলে মেহেতাব মিয়া টাঙ্গাইল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আবু তালেব সিদ্দিকী ও ওরফে তালে সিদ্দিকীকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ