কাগজের ব্যালটের নির্বাচনের মৌলিকত্ব ও গোপনীয়তা ইভিএম দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হলেও এটি দিয়ে জালিয়াতির সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উপযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সুজনের সহসম্পাদক জাকির হোসেন, সাবেক সচিব আব্দুল মন্ডল সজীব।
আলোচনা সভায় ইভিএমের কারিগরি দিক পর্যালোচনা ও নির্বাচনে এর প্রভাব বিষয়ে প্রবদ্ধ উত্থাপন করেন প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। প্রবন্ধে ইভিএমের চ্যালেঞ্জ, অভিযোগ এবং সমস্যা সংক্রান্ত নয়টি বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
আলোচনা সভায় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কমিশন বলছে ইভিএমে কেউ কারসাজি করা যাবে না। তবে এটা সুস্পষ্ট নির্বাচনের কমিশনের কেউ চাইলেই এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের ওপর অনেকেই আস্তা হারিয়েছে। ‘
ইভিএম ক্রয়ে বিপুল অর্থের ব্যয়ের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক। তিনি বলেন,’ ইভিএম ক্রয়ে হাফ বিলিয়ন ডলার ব্যয় প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। ‘
আলোচনা সভায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইভিএম ওভার রাইট করার ক্ষমতা, অডিট কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতি, ডিজিটাল অডিট ট্রেইলের নিরাপত্তার বিষয়ে সমালোচনা করা হয়। ইভিএমের কারিগরি ত্রুটি ও ম্যান্যুয়াল ফলাফলের অসঙ্গিগুলোরও সমালোচনা করেন বক্তারা।
প্রযুক্তিবিদ ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘ইভিএম মেশিন হ্যাং ও বায়োমেট্রিক শণাক্তে ত্রুটির জন্য বুথে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। বুথে মাস্টার ডাটাবেজ না থাকায় অন্য ইভিএমে ভোট দেওয়া যায় না। এতে ভোটদানের হার কমে যায়। ‘
কর্মকর্তাদের ইভিএম ওভার রাইড করার ক্ষমতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভোটার অনুপস্থিত থাকলেও নির্বাচিত কর্মকর্তারা ওভার রাইড ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। এটা অনধিকার চর্চা। ইন্টারনেট সংযুক্ত না থাকলেও ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব এই দাবিটিও সত্য নয়। ‘
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ