রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পূজামণ্ডপে ব্যাগ-পোটলা নিয়ে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করেছে পুলিশ সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ বিভাগ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি ওবায়দুল কাদের-নানক-হারুনের তথ্য পেলেই গ্রেফতার: র‌্যাব শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের মৃত্যু খাল-বিল ভরাটের ফলেই নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হয়েছে গাজায় মসজিদ-স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২৪ আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু নেত্রকোণায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯২৭ বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের জন্য হচ্ছে ‘স্পেশাল লাউঞ্জ’ ‘হেলমেট বাহিনীর’ সদস্য মনিরুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার ‘সাধারণ মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে’ শেরপুরে বন্যায় ৪ মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত

একযুগ পর পানিসম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, নদী চুক্তির সম্ভাবনা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনের আগে এটিই খুব সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফর। সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কুশিয়ারা নদী নিয়ে একটি সমঝোতা হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া গঙ্গা নিয়েও বড় চুক্তি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে একটি কূটনৈতিক সূত্র। এর আগে চলতি মাসের শেষদিকে দুদেশের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় জেআরসি’র পানিসম্পদমন্ত্রী  পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে। দিল্লীতে এই ফিরতি বৈঠক বসছে এক যুগ (বার বছর) পর।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হতে পারে। তবে দুই দেশেই পানি ইস্যু স্পর্শকাতর হওয়ায় সমঝোতা নিয়ে বাইরে কোনো তথ্য প্রকাশের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। খবর দ্য হিন্দুর।

সূত্র মতে, শুধু বড় চুক্তিই নয়- নদীর পানিবিষয়ক তথ্য এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়েও জেআরসি বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আগস্টের শেষ সপ্তাহে ভারতের রাজধানী দিল্লি­তে জেআরসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এ বৈঠকে আসাম থেকে বাংলাদেশে আসা কুশিয়ারা নদী নিয়ে একটি সমঝোতা হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া গঙ্গা নিয়েও বড় চুক্তি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে একটি কূটনৈতিক সূত্র। আগামী নির্বাচনের আগে এটিই খুব সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ ভারত সফর।

আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তা নিয়েও একটি চুক্তির জন্য ভারতকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। তবে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এবং ২০২১ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ সব পর্যায়ের যোগাযোগেই এই চুক্তির গুরুত্বের কথা জানিয়েছে। এর আগে এ নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে সরকারের বাধার কারণেই তিস্তা চুক্তিতে দেরি হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত দিল্লী­ এবং কলকাতার মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কে দূরত্ব থাকার কারণেই তিস্তা চুক্তি আটকে গেছে। গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিলি­তে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশ-ভারত দরকষাকষির আগেই মমতার সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদি। এর ফলে অনেকেই ধারণা করছেন, পানি বণ্টনের বিষয়টিই হয়তো ছিল আলোচনার মূল লক্ষ্য।

সর্বশেষ ২০১০ সালে জেআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশই এবার এই বৈঠকের আহ্বান জানায়। এই সময়ের মধ্যে যদিও দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু নদী সম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে। তবে সেগুলোকে একটি সুসঙ্গত আকার দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। জেআরসি এজন্য উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফরম। এর আসন্ন বৈঠকে মূলত ইতিবাচক দিকেই ফোকাস দেওয়া হবে এবং তিস্তা ছাড়াও অন্য আন্তঃসীমান্ত নদীর বিষয়েও আলোচনা হবে।

এ ছাড়া মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা এবং দুধকুমার নদীতে দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা জোরদার করা হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদী রয়েছে। বাংলাদেশ এসব নদীর বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে আরও তথ্য চায়। দেশের মধ্যে মৎস্য পরিকল্পনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এসব তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেআরসি বৈঠকে বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নদীর তথ্য আদান-প্রদানের সময়কাল বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে করে বাংলাদেশ বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার জল বণ্টন চুক্তি সই হয়। ২০২৬ সালে এর মেয়াদ শেষ হবে। দুই দেশই এখন এই চুক্তির মেয়াদ আরও বৃদ্ধিতে আগ্রহী। এ ইস্যুও আগামী বৈঠকগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এছাড়াও জলযান পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং নদী দূষণ হ্রাস নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: দ্য হিন্দু

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com