বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
৪০ কোটির মধ্যে ৩০ কোটি বই ছাপানো বাকি কর্ণফুলীতে ভেসে উঠলো নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক ধরা পড়ল শিক্ষার্থীদের হাতে সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের ‘অতর্কিত হামলায়’ ১৪ নিরাপত্তা সদস্য নিহত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু

দর্শনা পৌর এলাকায় স্থায়ী পানিবদ্ধতা, দেখা দিয়েছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, নূরুল আলম বাকু, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজের ব্যাবস্থা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ ভারি বৃষ্টির কারনে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। স্বল্প পরিসরে নির্মিত ড্রেনগুলোর বেশিরভাগই পরিস্কার ও সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ায় বর্তমানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পৌর এলাকার রামনগর, আজমপুর ও মহম্মদপুর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে পানি জমে দীর্ঘস্থায়ী পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী পানিবদ্ধতার কারনে পানি পচে দুর্গন্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দুষন ঘটছে। এসব এলাকায় বসবাসকারি নানা বয়সের মানুষের মধ্যে আমাশয়, ডায়রিয়া, জন্ডিস, চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ওইসব এলাকার মানুষ। স্থায়ীভাবে পানিবদ্ধতার দুর করতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর।
পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে পৌর এলাকার হাট-বাজার ও বিভিন্ন পাড়া মহল্লার ড্রেনেজ ব্যাবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। রেলবাজারের মেইন রোড থেকে হার্ডঅয়্যার পট্টি হয়ে মাছ বাজারের ভিতরের ড্রেনটি দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনের উপচেপড়া পানি ও কাদায় বাজারের ভিতর সয়লাব হয়ে যায়। এ ড্রেনটির গন্তব্যস্থল ছিল বাজার মাঠের উত্তরে কেরু এন্ড কোম্পানির একটি গর্ত। ময়লা আবর্জনা ফেলার করনে বর্তমানে সেটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে সেইসাথে গর্তটির পুর্বদিকে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য মাটি ফেলে ভরাট করায় গর্তটির আয়তনও কমে গেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে এখন গর্তের পানি এ ড্রেনটি দিয়ে উল্টো মাছ বাজারে ঢুকে পড়ে। রেলবাজারের কাঁচাবাজারের ড্রেনটির উপরের স্লাবগুলো ভেঙে বসে যাওয়ায় পানি নিস্কাশন হতে পারে না। এ ড্রেনটির গন্তব্য স্থলও গর্তের মালিকরা মাটি ফেলে ভরারট করে ফেলছে। ফলে আর কয়েক বছর পর বাজারের পানি বের হবার আর কোন রাস্তা থাকবে না। বাসষ্ট্যান্ডের দর্শনা হল্টের তেঁতুল তলা থেকে বাসষ্ট্যান্ড হয়ে রশিক শাহ’র মাজারের দিকের ড্রেনটির অবস্থা করুণ। দীর্ঘদিন ড্রেনটি পরিষ্কারের অভাবে ও ড্রেনের উপরের স্লাব ভেঙে বসে যাওয়ায় ড্রেনটি ভরাট হয়ে প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। পৌরসভার প্রথম পর্যায়ে নির্মিত শ্যামপুর, পরানপুর, রামনগর, হল্টচাঁদপুর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মধ্যে পুরাতন কিছু ড্রেনের বর্তমানে কোন অস্তিত্বই নেই। দীর্ঘদিন ধরে এসব ড্রেন ভেঙে পড়ে থেকে ভরাট হয়ে যাওয়ায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে বিলীন হয়ে গেছে।
প্রতি বছর সরকারী কোষাগার থেকে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় ড্রেন নির্মান করা হলেও জনসচেতনতা ও সংশ্লিষ্টদের তদরকির অভাবে বেশিরভাগ মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারে না। অধিকাংশ ড্রেনই অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হওয়ায় হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার বেশিরভাগ মানুষই এর সুবিধা ভোগ করতে পারছে না বলে অভিযোগ অনেকের। পৌর এলাকার রামনগর গ্রামের রাস্তার উত্তর পার্শ্বের পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে স্থায়ী পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বছরের বেশিরভাগ সময়ই এ অবস্থা থাকায় ওই এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বাস স্ট্যান্ড থেকে রেলবাজার পর্যন্ত মেইন রোডের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট গড়ে ওঠায় পুরো বর্ষাকাল জুড়ে রাস্তার পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না। রাস্তার দুই পাশ কাদা-পানিতে একাকার হয়ে থাকে। ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শত শত স্কুল-কলেজ পড়ু–য়া শিক্ষার্থীরাসহ পথচারিদের পড়তে হয় চরম বিপাকে।
পৌর এলাকার আজমপুর ও মহম্মদপুর মহল্লা দ’ুটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। জায়গার স্বল্পতার কারনে এ মহল্লা দুটির মানুষ গাদাগাদি করে বসবাস করে। তার উপর এ এলাকা দু’টির রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যাবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ দু’টি মহল্লার বেশিরভাগ এলাকাই নিচু। এসব এলাকায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘস্থায়ী পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বছরের দীর্ঘ সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর। এছাড়া আজমপুর মহল্লায় হীরা সিনেমার দক্ষিন পাশে এলাকায় একটি ডোবা রয়েছ। আশপাশ ড্রেনের পানি এসে এখানে পড়ে। দীর্ঘদিন এটি সংস্কার না হওয়ায় এর পানি পঁচা ও দুর্গন্ধময়। সেইসাথে কচুরিপানায় ভরা। ডোবাটি ভরাট হয়ে পানি ধারনক্ষমতা কমে যাওয়ায় আশপাশের ড্রেন দিয়ে আসা পানি ডোবা উপচে আশপাশের বাড়িঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছে। ফলে এসব এলাকায় বসবাসকারিদের বিপদের শেষ নেই। বড় এবং ঘন কচুরিপানা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে মশা-মাছির বিস্তার ঘটে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর ও চিকনগুনিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পৌর কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করে এসব এলাকার স্থায়ী পানিবদ্ধতা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবেন এমনটাই দাবী ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com