বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা ও পৌর এলাকায় চন্দনা নদী সংযোগ খালের প্রায় ১০টি পয়েন্টে খালের মুখ বন্ধ করে প্রভাবশালীরা বাড়ি ঘর নির্মাণ এবং বাজার এলাকায় মার্কেট নির্মানের কারণে এলাকার সর্বসাধারণ ও কৃষি জমির ফসল জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পৌরবাসী।
পৌর শহরের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে খেলার মাঠে পানি জমে খেলাধুলা ও যাতায়াত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিুশু কিশোরেরা। বিশেষ করে উপজেলা সদরে একমাত্র খেলার মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এ মাঠে প্রতি বছর বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায় পূর্ব গোন্দারদিয়া মধুখালী রেলগেট বাসস্টান্ড হয়ে পশ্চিম গোন্দারদিয়া বিশ্বাস ও মল্লিকপাড়া পর্যন্ত এবং মির্জা বাড়ির পাশদিয়ে পশ্চিম উত্তরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নিচ দিয়ে পিয়াজ বাজার হয়ে চন্দনা নদী সংযোগ খাল, মহাসড়কের চুঙ্গির খালের মাথা বন্ধ করায় মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গোন্দারদিয়া মোল্যাা বাড়ির পাশ দিয়ে উত্তরদিকে মধুখালী বাজারের ভিতর দিয়ে চন্দনা নদী সংযোগ, পিয়াজ বাজার সংযোগ খাল দখল করে মার্কেট নির্মান, গোন্দারদিয়া মাদ্রাসা হয়ে, দক্ষিন পাশে মোল্যা পাড়া মাঠ মুখি খাল মহাসড়ক হয়ে চন্দনা নদী সংযোগ খাল বন্ধ করায় জলাবদ্ধতার কারণে এলাকায় মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের পানিতে ডোবার কারণে তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়ে চাষীদের মাথায় হাত। সে কারণে পৌরবাসীকে এলাকায় চরমভাবে জনদূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপরে মধুখালী পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন জানান, ইতিমধ্যে পৌর কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব শিঘ্রই খাল সংলগ্ন জমির মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে কিভাবে খাল সংস্কার করা যায় এবং জলবদ্ধতায় সমাধান করা যায় এ ব্যাপারে সকলকে নিয়ে বসা হবে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের গোচরীভূত হয়েছে। আগামী ৭আগষ্ট সোমবার আইনশৃঙ্খলা ও নদী রক্ষা কমিটির মিটিং আছে সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস