নতুন মাদক বিক্রি এবং তাপ নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ‘কুশ’ মাদক তৈরির অন্যতম হোতা ওনাইসি সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন এ তথ্য জানান।
খন্দকার আল-মঈন বলেন, সোমবার (১ আগস্ট) রাতে গুলশান থেকে সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০১ গ্রাম কুশ, ৬ গ্রাম হেম্প, ০৫ গ্রাম মলি, ১ গ্রাম ফেন্টানল, ১৮ গ্রাম কোকেন, ১২৩ পিস এক্সট্যাসি, ২৮ পিস এডারল ট্যাবলেট এবং ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও অর্ধলক্ষাধিক মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলন
মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে তাপ নিয়ন্ত্রণ গ্রো-টেন্ট এর মাধ্যমে অভিনব পন্থায় বিদেশি প্রজাতির কুশ তৈরির প্লান্ট ও সেটআপ উদ্ধার করা হয়। এ দেশে নতুন মাদক এক্সট্যাসি এর অন্যতম হোতা সাঈদ। সে প্রায় ৪ বছর ধরে এক্সট্যাসিসহ অন্যান্য উচ্চমূল্যের মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িত।
র্যাব জানায়, দেশে সাঈদের ক্রেতাদের সম্পর্কে জানা গেছে, অধিকাংশ ধনী পরিবারের সদস্য, এছাড়া অভিজাত এলাকায় বিভিন্ন পার্টিতে চাহিদার ভিত্তিতে সরবরাহ করে থাকেন।
র্যাব জানায়, মাদক চোরাকারবারি এবং মাদকসেবীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রচলিত নয়, কিন্তু বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রচলিত এমন কিছু মাদকের ব্যবহার বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাতে ধীরে ধীরে যুবসমাজ এতে আসক্ত হয়ে উঠছে। র্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এক্সট্যাসি নামক একটি নতুন মাদকের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে পারে।
জানা যায়, এক্সট্যাসি হলো মেথানিল ডাই অক্সি মেথাফিটামিন। নতুন মাদক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে র্যাব আরও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। সাঈদ বাংলাদেশে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে বিদেশ থেকে বিবিএ এবং এমবিএ সম্পন্ন করেন। বিদেশে অধ্যায়ন শেষে ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে অবস্থানকারী পূর্বপরিচিত একজন গ্রেপ্তারকৃত সাঈদকে বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত মাদক সরবরাহ করতের। পরবর্তীতে উক্ত সরবরাহকারী উত্তর আমেরিকার একটি দেশে স্থানান্তরিত হলে, সেখান থেকে এ জাতীয় মাদক সাপ্লাই করতে থাকে। এভাবে সে আন্তর্জাতিক মাদক সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ