বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম’র পরীক্ষা চালিয়েছে। এটি দিয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের বেশিরভাগ এলাকায় আঘাত হানা সম্ভব বলে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে বলেছে, শুক্রবার রাতে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩,০০০ কিলোমিটার উঁচুতে উঠেছিল। এটি নিক্ষেপের স্থান থেকে ১,০০০ দূরে জাপান সাগরে গিয়ে পড়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইস জানিয়েছেন, প্রাথমিক হিসাবে মনে হচ্ছে, পিয়ংইয়ংয়ের এই ক্ষেপণাস্ত্র ১০,০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। অর্থাৎ উত্তর কোরিয়া চাইলে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল, এমনকি আরো গভীর অভ্যন্তরে আঘাত হানতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহর এবং সম্ভবত শিকাগো শহরও এখন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে এসেছে। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের দুই-তৃতীয়াংশ এখন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।
এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো আইসিবিএমের পরীক্ষা চালানোর তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হলো। প্রথমটির চেয়ে দ্বিতীয়টি ২০০ কিলোমিটার বেশি উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং এটি আগেরটির চেয়ে ছয় মিনিট বেশি অর্থাৎ ৪৫ মিনিট ধরে আকাশে উড়েছে বলে এনএইচকে জানিয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছর উত্তর কোরিয়া ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল। আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সকালবেলা নিক্ষেপ করা হলেও এবারের আইসিবিএমের পরীক্ষা চালানো হয় শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪১ মিনিটে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় জাগাং প্রদেশ থেকে এটি নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। এর আগে কখনোই এই প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেনি উত্তর কোরিয়া। এর অর্থ হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের গোয়েন্দা উপগ্রহের সব ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ করে দিয়ে এটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর আগের প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের আগেই মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র খবর পেয়ে যেত। কিন্তু এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি আগে থেকে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি আমেরিকা। সূত্র : পার্সটুডে
বাংলা৭১নিউজ/জেএস