রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: জেলেরা বলছেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী একদল কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: মেয়র তাপস গবেষকদের দাবি: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনের টিকায় কানে নজর কাড়লেন কিয়ারা ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং লোন নিয়ে রিকশা কিনছি, এখন কিস্তি দেবো কি করে ট্রাম্পের মস্তিষ্ক বিকৃত, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বাইডেন মেসির ফেরার ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয় মিয়ামির ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয় সৌদি গেলেন ২৮৭৬০ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু

নওয়াজের সুপারিশ শাহবাজ শরীফ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: শাহবাজ শরীফই হতে পারেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন নওয়াজ শরীফ। এরপরই আলোচনা শুরু হয়Ñ কে হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়েছে, নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে। প্রকৃতপক্ষে দল থেকে এখনও শাহবাজ শরীফকে মনোনয়ন দেয়া হয় নি। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন-এর অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, নওয়াজ শরীফকে শুক্রবার অযোগ্য ঘোষণার পর দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন তিনি। সেখানে নওয়াজ শরীফ তার ছোট ভাই শাহবাজ শরীফকে নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে সুপারিশ করেন। তার এ প্রস্তাবে বৈঠকে উপস্থিত কেউই দ্বিমত প্রকাশ করেন নি। উল্টো তারা নওয়াজের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয় নি পিএমএলএন বা পদস্থ কোনো কর্মকর্তা। তবে নওয়াজ ক্ষমতা হারালেও দলে থাকবে তার একক আধিপত্য। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন পুরো দল তা মেনে নেবেÑ এমনটাই বলা হচ্ছে মিডিয়ায়। তাই ধরে নেয়া যায়, শাহবাজ শরীফই মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন। তিনি বা অন্য যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক তাকে জাতীয় পরিষদের ভোটে পাস হতে হবে। এক্ষেত্রে পিএমএলএন যাকেই মনোনয়ন দিক না কেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন। কারণ, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে পিএমএলএনের। ওই বৈঠকে উপস্থিত পিএমএলএনের সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ডন। ওদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও নওয়াজের ছোট ভাই শাহবাজকে যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে শরীফ পরিবারের ঘাঁটি যে পাঞ্জাব তা তাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল নওয়াজের মধ্যে। কে পাঞ্জাবে তাদের শরীফ পরিবারের মশাল জ্বালিয়ে রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত নেতারা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরীফের ছেলে হামজা শাহবাজের নাম প্রস্তাব করেন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু তাদের এ সাজেশনে খুব কম আগ্রহই দেখিয়েছেন নওয়াহ। তিনি তাদের প্রস্তাবে রাজিও হন নি। আবার প্রস্তাব বাতিলও করে দেন নি। এ অবস্থায় অনলাইন ডন বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে আলোচনায় রয়েছেন শাহবাজ শরীফ ছাড়াও অনেকে। তার মধ্যে অন্যতম হলেন জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পেট্রোলিয়াম বিষয়ক মন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আহসান ইকবাল ও বাণিজ্যমন্ত্রী খুররম দস্তগির খান। আপাতত নওয়াজবিহীন পাকিস্তানে প্রথম ৪৫ দিন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কেউ একজন। কে তিনি তাও নিশ্চিত নয়। তার দায়িত্ব শেষে, অর্থাৎ ৪৫ দিন পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেবেন। আলোচিতদের মধ্যে স্পিকার আয়াজ সাদিক লাহোর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১২২ নম্বর আসনে। তিনি ২০১৩ সালের নির্বাচনে পরাজিত করেছেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই ইমরান খানকে ক্ষেপিয়ে তুলতে তাই আয়াজ সাদিককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে পারেন নওয়াজ। কারণ, পানামাগেট কেলেঙ্কারিতে শরীফ পরিবারের বিরুদ্ধে যে মামলা তার অগ্রভাগে ছিলেন ইমরান খান। ওদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দেশের বেসামরিক ইস্যুতে নিজেদের জড়িত করা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সেনাবাহিনীর তীব্র সমালোচক। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন শিয়ালকোট থেকে। পেট্রোলিয়াম বিষয়ক মন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসী হলেন নওয়াজ শরীফের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠদের অন্যতম। ১৯৯৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে উৎখাত করেন নওয়াজকে। সেই সামরিক অভ্যুত্থানের পর নওয়াজ শরীফ সহ অন্য যাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়েছিল তার মধ্যে আব্বাসী অন্যতম। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন মুরি থেকে। ১৯৮৮ সাল থেকে পিএমএলএনের সদস্য ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েট আহসান ইকবাল। তাকেও নওয়াজ শরীফের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com