লাইলী বেগমকে (৩৮) পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতাররা হলেন খোকন মিয়া ওরফে কাজল এবং তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার কনা। তারা ময়মনসিংহ মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহের পিবিআই কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভোররাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, খোকন মিয়ার মেয়ের সঙ্গে মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সিরাজুল আবার আব্দুর রশিদ ও নিহত লাইলী বেগমের ছেলে।
সম্প্রতি বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকলে ওই মেয়ে ১৯ জুন সিরাজুলের হাত ধরে পালিয়ে যান। এরপর তারা ফিরে না এলেও বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলছিল। গত ২৮ জুন দুপুরে এ বিষয়ে সালিশ হওয়ার কথা ছিল এলাকায়।
কিন্তু ওইদিন সকাল ৯টার দিকে মেয়েকে ফিরে পেতে লাইলী বেগমের বাসায় যান মেয়ের মা নাসিমা আক্তারসহ চারজন। এসময় তারা লাইলী বেগমকে নির্যাতন করেন।
একপর্যায়ে লাইলীর হাত-পা বেঁধে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে চলে যান মেয়ের পরিবারের চার সদস্য। পরে লাইলীকে উদ্ধার প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে ২৮ জুন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় লাইলীর।
পরে এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের স্বামী আবদুর রশিদ বাদী হয়ে আটজনের নামে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে রাতেই জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী আছমা আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রেমিকার চাচা-চাচি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলার পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, গ্রেফতাররা প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ