ইদানীংকালে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধানের অঙ্ক বদলে গিয়েছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে বয়সে ছোট পাত্রের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন মধ্যবয়স্কা নারীরা। তথাপি ২৪ বছরের তরুণ কুরান ম্যাককেইন ও ৬১ বছরের প্রৌঢ়া চেরিল ম্যকগ্রেগরের বিয়ের খবরে চমকেছে গোটা বিশ্ব।
দু’জনের বয়সের ব্যবধান ৩৭ বছর। কার্যত চেরিলের নাতির বয়সী কুরান। যদিও তাতে কিছু এসে যায় না কুরান বা চেরিলের। তারা সন্তানেরও পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। এর জন্য কোটি টাকার বেশি খরচা হচ্ছে, জানিয়েছে দম্পতি।
কুরান আর চেরিলের অসমবয়সী বিয়ের খবর ছিল চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মতোই। যা নিয়ে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছিল তাদের। অধিকাংশ নেটিজেন ব্যাপারটা হজম করতে পারেনি। অনেকেই বলেন, কুরান আসলে সম্পত্তির লোভে চেরিলকে বিয়ে করেছেন।
এমন কথা বলার কারণও আছে, চেরিল সাত সন্তানের মা। এমনকী চেরিলের বড় নাতির বয়স ১৭ বছর। অর্থাৎ চেরিলের নাতির থেকে মোটে ৭ বছরের বড় কুরান। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং কুরান।
জানা গিয়েছে, কুরানের সঙ্গে চেরিলের প্রথম দেখা হয় ২০১২ সালের। কুরানের বয়স তখন ১৫ বছর। যে রেস্তরাঁতে তাদের আলাপ হয় সেটির ম্যানেজার ছিল চেরিলেরই ছেলে। মাঝে অবশ্য বেশ কয়েক বছর যোগাযোগ ছিল না। ২০২০ সালের নভেম্বরে ফের দেখা হয় দু’জনের।
এরপর সম্পর্ক গভীর হতে সময় লাগেনি। এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সমাজ, সভ্যতাকে হকচকিয়ে দিয়ে বিয়ে করেন কুরান ম্যাককেইন ও চেরিল ম্যকগ্রেগর। এবার সুখী দাম্পত্যের খোঁজে সন্তানের পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন বিতর্কিত দম্পতি।
তার জন্য অবশ্য মোটা খরচ হচ্ছে। খরচা হবে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কুরান জানিয়েছেন, “সারোগেটস-এর জন্য ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা লাগছে। আশা করছি ২০২৩ সালের বসন্তের মধ্যে আমাদের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে।” অষ্টম সন্তানের অপেক্ষায় উত্তেজিত ৬১ বছরের মা চেরিল। তিনি ইতিমধ্যে খুদের জন্য কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ