নরসিংদীর পলাশে পারিবারিক কলহের জের ধরে চাচিকে মারধর করায় হাদিউল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের দুই হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তার আপন চাচি আর ফুপা।
মঙ্গলবার দিবাগত ভোর ৪টার দিকে পলাশের নোয়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত হাদিউল নরসিংদী শিবপুর থানার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে।
আহতের পরিবার ও জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে হাদিউল ও তার চাচির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাদিউল তার চাচিকে মারধর করে। এতে করে তার চাচি বেশ কিছু দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তা ছাড়া হাদিউল কিছু দিন ধরে চাকরির খোঁজ করছিলেন।
চাচির সঙ্গে ঝগড়ার আগে হাদিউল তার ফুপার কাছে চাকরির জন্য খোঁজ করছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তার ফুপা তাকে চাকরির কথা বলে তার নিজ বাড়ি নোয়াকান্দা গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে হাদিউল রাতযাপন করে। পরে ভোর ৪টার দিকে হাদিউলকে তার ফুপা পার্শ্ববর্তী একটা ঝোপে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে হাত-পা মুখ বেঁধে তার দুই হাতের কব্জি কেটে দেয়। পরে ভোরবেলায় হাদিউলের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আহতকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। থানায় মামলা হলে পরবর্তী সময় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ