বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: মধুখালীতে একটানা দুইদিন বৃষ্টি পাত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মচিরসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।
সরোজমিনে বিভিন্ন স্থান ঘরে দেখা গেছে মৌসুমী অর্থকরি ফসল মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টির পানিতে ডুবে। চাষীরা যে পরিমান টাকা ব্যায় করে মরিচের চাষ করা হয়েছিল তার একচতুর্থাংশও চাষীর ঘরে তোলা সম্ভর হয় নাই এরই মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রাস করে নিয়েছে চাষীর কষ্টের ফসল । মরিচ চাষে ব্যায় করা অর্থ ফেরত না আসায় মরিচ চাষীদের মাথায় হাত।
উপজেলার ব্যাসদী রাশিদা নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মরিচ চাষী তারিকুল ইসলাম জানান দুই একর জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচে মরিচ চাষ করে ছিলেন। আশা করেছিলেন ২ লক্ষ টাকা বিক্রয় হবে সবে মাত্র ২০হাজার টাকা বিক্রয় করেছিনে। প্রায় মরিচ ক্ষেত পানির নীচে অল্প বেচে আছে যাতে খরচও ঘরে আসবে না ।
গাজনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলেশ্বর গ্রামের মরিচ চাষী মো. মঞ্জুর রহমান মোল্যা জানান ৩৫ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছেন প্রায় ২০হাজার টাকা খরচ করে । সব মিলিয়ে প্রায় ১৫/১৬হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন, আশা ছিল ৫০/৬০ হাজার টাকা বিক্রয় হবে কিন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সব শেষ।
অপর দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের মরিচ চাষী বশির শেখ জানান প্রায় ১একর জমি লীজ নিয়ে মরিচ চাষ করেছিলেন। যে টাকা খরচ হয়ে ছিল তার কিছু অংশও ঘরে উঠে নাই বৃষ্টির পানি মচির ক্ষেতে উঠায় সব শেষ।
প্রতিদিন প্রায় ৩/৪হাজার মন মরিচ মধুখালী থেকে ঢাকা-খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয় । উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদা পারভীন জানান এ বছর মধুখালী উপজেলায় প্রায় ২হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মরিচ,আখ,ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে টানা দুদিনের বৃষ্টিতে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস