বাংলা৭১নিউজ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে: সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামের জানাযা নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৬৯ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা সদর থানায় গেলে পুলিশ তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে সদর উপজেলার আগরদাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুস সোবহান মুকুল, কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মুজাহিদ আলী, সেক্রেটারি আব্দুল ওহাব, কালিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য।
জানা যায়, (২৩ জুলাই) রোববার খুলনায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম। সোমবার বিকালে সদর উপজেলার আগরদাড়ি মাদ্রাসা ময়দানে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজে কালিগঞ্জ, কদমতলা, ঝিকরগাছা, মনিরামপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাস ও মাইক্রোযোগে নেতা-কর্মীরা অংশ গ্রহন করে। জানাযা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাদের আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, জামায়াতের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। যাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কোন মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
এদিকে, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিটিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাফফর রহমান এবং বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিকালে খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা ৭/৮ জন সংবাদ কর্মী থানায় গেলে আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে পুলিশ।
সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা আমান হত্যা মামলায় সাবেক এমপি হাবিবসহ ৮৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা আমান হত্যা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৮৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এম এ হামিদ চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এড. ফাহিমুল হক কিসলু জানান, ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা আমানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর ওই দিন রাতে তার মা ফাতেমা খাতুন বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর সদর থানার এস.আই আবুল কাসেম ৮৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিনি আরো জানান, এ মামলায় ইতোমধ্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়েছে।
প্রসঙ্গত ঃ ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন চলাকালিন বিএপির তৎকালীন সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান নিহত হন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস