সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার ৭ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবসে সরকারের নানা কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা

তারেককে খালাস দেওয়া বিচারকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ জুন, ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

মুদ্রা পাচার মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাসের রায় দেওয়া বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে থাকা বিচারক মোতাহারের বিরুদ্ধে অনুমোদিত মামলায় প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোববার (১২ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।

ঘুষ হিসাবে ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। সে সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মো. মোতাহার হোসেনের তার নিজ নামে ও স্ত্রী তাসলিমা বেগম ওরফে আরজুমান্দ আরার (মৃত) নামে অর্জিত জমি বা স্থাবর সম্পদের মোট পরিমাণ ৯.৩২৯৯ একর বা ৯৩৪ শতক। যার দালিলিক মূল্য ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। স্থাবর সম্পদ ছাড়া মো. মোতাহার হোসেনের নিজ নামে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ৭৬১ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৫ টাকা সম্পদসহ মোট ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। যার বিপরীতে ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পদের উৎসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই কমিশন থেকে দুদক ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি অনুমোদন দিয়েছে।

যদিও সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সেই সময় তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও জারি করে কমিশন। তবে কমিশন অনুসন্ধান শুরু করার আগেই তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। দীর্ঘ ৮ বছরের অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিদেশের সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেতে মালয়েশিয়া ও লন্ডন সরকারের কাছে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিন্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছিল দুদক। কিন্তু এতোদিনেও কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট পবিত্র সরকার, দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর পেশকার আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর পেশকার আরিফুল ইসলাম, বিশেষ জজ আদালত -৩ এর স্টেনোগ্রাফার মো. নুরুল ইসলাম ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর স্টেনোগ্রাফার মো. আবু হাসানসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com