জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১ জুন) দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা এক নোটিশে এ হিসাব চাওয়া হয়।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করার জন্য আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
রাজধানীর শেওড়াপাড়ার মোশাররফ হোসেনের বর্তমান বাসার ঠিকানায় পাঠানো নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ বা সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
‘আপনার নিজ ও আপনার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।’
নোটিশে আরও বলা হয়, এ আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ৫(২) ধারা মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। সংস্থাটি এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে জমা দিয়েছে।
২০২১ সালের ৪ মার্চ আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা ঘুষ দাবির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদক উপ-পরিচালক নুরুল হুদাকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তখন। সে সময় অনুসন্ধানকালে তাকে তলবও করা হয়েছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ