বাংলা৭১নিউজ, মোঃ গোলাম ফারুক দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি: দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের বন্দর তে-মাথা হতে থানা রোড সড়কে নাগর নদী সংলগ্ন মড়া খাড়ীর উপর প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দীর্ঘ ১২ বছরেও দু’ধারে সংযোগ সড়ক নির্মান না হওয়ায় সেতুটি জনসাধারনের কোন কাজেই আসছে না।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্বাবধানে ত্রান ও পূর্ণবাসন অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মান কর্মসূচীর আওতায় ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ বন্দর তে মাথা হতে থানা রোড সড়কটি বাইবাস সড়ক নির্মানের জন্য নাগর নদী সংলগ্ন মড়া খাড়ীর উপর প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ ফুট দৈঘ্য সেতুটি নির্মান করে। নির্মান কারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস রাব্বী ট্রের্ডাস যথা সময়ে সেতুটি নির্মান কাজ শেষ করেন। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা আনুষ্ঠনিক ভাবে সেতুটি উদ্বোধনও করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছরেও সেতুটির দু’ধারে সংযোগ সড়ক নির্মান করা হয়নি। এলাকা বাসীর অভিমত স¤পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে সংযোগ সড়ক ছাড়াই কিছু ব্যক্তির ব্যক্তি স্বার্থে সেতুটি নির্মান করা হয়েছে।
উপজেলা সদরে প্রশাশনে নাকের ডগার উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মান করায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও সেতুটির মাত্র ২০ গজ পশ্চিমে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত একই খাড়ীর উপর আরও একটি সেতু থাকায় নির্মিত নতুন এই সেতু জনসাধারনের কোন কাজেই আসছে না। ফলে তা দীর্ঘ ১২ বছর যাবত সেতুটি পরিত্যাক্ত অবস্থায়ই পড়ে আছে। এতে সরকারের মোটা অংকের অর্থ অপচয় হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচএম আশরাফুল আরেফিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি “বাংলা৭১নিউজ” কে জানান, ব্রীজটি তার আমলে নির্মিত হয়নি। কিছুটা পরিকল্পনা বিহীনভাবে ব্রীজটি নির্মান করায় তা জনগনের কোন কাজে আসছে না।
ব্রীজটি পৌরসভার আওতায় পড়ায় এবং পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর হওয়ায় পৌরসভা থেকে সড়কের দু’ধারে মাটি কাটাও সম্ভব নয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যর বরাদ্দ থেকে দু’ধারে মাটি ভরাট করে ব্রীজটি জনগনের জন্য চলাচলে উপযুক্ত করা যেতে পারে। ব্রীজটি পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস