বড় ধরনের দরপতনের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সবকয়টি মূল্যসূচকের বড় পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এই পতনের বাজারে সব থেকে বেশি দাম কমেছে সেবা ও আবাসন খাতের। আর পতনের বাজারে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ এবং বিবিধ খাতের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের প্রতিদিনই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন ২১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা কমে গেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩০৭ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা চার দশমিক ৬৮ শতাংশ। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ২০টির।
অপরদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ২৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮০৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে বাজারটিতে দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৭৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
এমন পতনের বাজারে গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে বিবিধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ।
এছাড়া বাকি খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য খাত ১০ শতাংশ, ব্যাংক খাত ১০ শতাংশ, বস্ত্র খাত ৯ শতাংশ, প্রকোশল খাত ৮ শতাংশ, সিরামিক খাত ৮ শতাংশ, অব্যাকিং আর্থিক বা লিজিং খাত ৫ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৪ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাত ৪ শতাংশ এবং আইটি খাত ৩ শতাংশ অবদান রেখেছে লেনদেনে।
লেনদেন বাকি খাতগুলোর অবদান তিন শতাংশের নিচে। এর মধ্যে সেবা ও আবাসন, ভ্রমণ ও অবকাশ, সিমেন্ট, চামড়া, জীবন বিমা এবং কাগজ ও মুদ্রণ লেনদেনে দুই শতাংশ করে অবদান রেখেছে। লেনদেনে এক শতাংশ করে অবদান রেখেছে মিউচ্যুয়ার ফান্ড এবং টেলিযোগাযোগ খাত।
অপরদিকে গত সপ্তাহে প্রতিটি খাতই পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সব থেকে বেশি পতন হয়েছে সেবা ও আবাসন খাতের। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ১০ দশমিক ২১ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।
এছাড়া কাগজ ও মুদ্রণের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, জীবন বিমার ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আইটির ৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, সিরামিকের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, পাটের ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বস্ত্রের ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ, খাদ্যের ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ, লিজিংয়ের ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রকৌশলের ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বিবিধ ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ দাম কমেছে।
বাকি খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংকের ১ দশমিক ৮০ শতাংশ, সিমেন্টের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বিদ্যুৎও জ্বালানির ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ওষুধের ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ, চামড়ার ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং টেলিযোগাযোগ খাতের ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দাম কমেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ