জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সদস্য কামরুন্নাহার শোভা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, মুরগি লুট ও গাছ কাটাসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
শনিবার (২১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় বিএইচআরএফ।
বিবৃতিতে বিএইচআরএফের সভাপতি রাশেদ রাব্বি ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সাংবাদিক শোভা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে করা এসব মিথ্যা মামলা অতি দ্রুত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তাদের হয়রানি বন্ধ, গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তি ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, শোভার বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক কফিল উদ্দিন আহমেদ (৮০) ও তার চাচাতো ভাই জহিরুল ইসলাম রাজুকে শুক্রবার (২০ মে) গ্রেফতার করে পুলিশ। মুরগি খামারের ১২টি টিন ও ২০০ মুরগি লুট, ২৫ থেকে ৩০টি গাছ কেটে নেওয়াসহ ভাঙচুর, হামলা এবং চাঁদাবাজিসহ ১০টি ধারার মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া শোভা ও তার মাসহ পরিবারের আরও নয় সদস্যকে এই মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই এখন গ্রেফতার ও হয়রানির আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার বাগবাড়ী এলাকায় শোভার পরিবারের পৈতৃক সূত্রে এক একর ৮০ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমি রাজধানীর গুলশান এলাকার ফজলুল করিমের ছেলে ইমতিয়াজ করিম ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে দখল করার চেষ্টা করে আসছেন। আর এ কারণে তারা কফিল উদ্দিনসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলো।
কিন্তু এতে কাজ না হওয়ায় পরিবারটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত মোট ২৬টি মামলা করেন ইমতিয়াজ করিম ও তার সহযোগীরা। বর্তমানে ১৩টি মামলা চলমান। সর্বশেষ গত সোমবার (১৬ মে) ইমতিয়াজ করিম টিন ও মুরগি লুটের মামলাটি করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ