লেখার কাজে কলমের ব্যবহার বহুকাল আগেই শুরু হয়েছে। বলা যায়, কলমের ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি। তবে আধুনিক প্লাস্টিকের আবরণে তৈরি কলম বেশি দিনের নয়। সেই কলমের ওজন আর কতই হবে। স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে দীর্ঘসময় ব্যবহার করা যায় এজন্য এটি খুবই হালকাভাবে তৈরি করা।
তবে দীর্ঘাকার এক বলপেন এবার জায়গা করে নিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। রীতিমতো ঘাড়ে তুলে সরাতে হচ্ছে কলমটিকে। এই কলম দেখেই চোখ কপালে নেটিজেনদের। কলমটি তৈরি করেছেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা আচার্য মাকুনুরি শ্রীনিবাস। কলমটির ওজন ৩৭.২৩ কিলোগ্রাম এবং এই পেনের দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট ০.৫৩ ইঞ্চি বা ৫.৫ মিটার। ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনির দৃশ্য খোদাই করা আছে কলমের গায়ে।
এই কলম এখন পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কলম। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কলমের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তবে এই কলম তৈরি হয়েছে আরও বেশ কিছু বছর আগে। ২০১১ সালে এই পেন তৈরি করা শুরু করেন মাকুনুরি। সেই সময় থেকেই এই রেকর্ডের অধিকারী তিনি। কলমটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
কলমটির মুখ একটি স্টিল আকৃতিক। বেশ কয়েকজন মিলে কলমটিকে তুলে ধরার পরই এটি দিয়ে লেখা সম্ভব। এই কলমের ভিডিও ১১ বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই তার সম্পর্কে জানতে পারে বিশ্বের মানুষ। এমনকি সেই ভাইরাল ভিডিও দেখেই গিনেস কর্তৃপক্ষ কলমের কথা জানতে পারেন।
অনেকেই অনেক কথা বলছেন এটি নিয়ে। কারো মতে এই কলম লেখার কোনো কাজেই আসবে না। আবার অনেকে বলছেন এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। নানা মুনির নানা মত হলেও এই কলম নিয়ে হইহই কম হচ্ছে না। রীতিমতো এই কলম এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বস্তু হয়ে উঠেছে।
এরই মধ্যে এই পোস্টে লাইক পড়েছে প্রায় ৬৭ হাজারেরও বেশি। এই কলমের আবিষ্কারকদের প্রশংসাও করছেন অনেকে। অনেকে মন্তব্য করছেন, ‘অনেক পরিশ্রমের ফসল এই পেন তা এর আকারেই বোঝা যায়।’ এর আগের রেকর্ড করা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কলমটি ছিল ১.৪৫ মিটার বা ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ