জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে বড় ভাইয়ের স্ত্রী রিমা আক্তার ৪ বছর বয়সী দেবর আব্দুল্লাহ লাবিবকে নিজ ঘরে ভাত খাওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে হত্যা করেছে। লাবিব রশিদপুর সাতানা গ্রামের মো. জহুরুল আলীর ছেলে। হত্যাকারী ভাবি রিমা আক্তার বড় ভাই মেফতাউল হোসেনের স্ত্রী। জহরুল আলীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
লাবীব সবার ছোট।
লাবিবের বাবা মিষ্টি ব্যবসায়ী জহরুল জানান, ৯ মাস আগে বড় ছেলে মেফতাউল প্রেম করে রিমা আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আলাদা সংসার করার জন্য পারিবারিক কলহে জড়াত সে। সংসারে শান্তি আনতে মেফতাউলকে বাড়ির পাশে আলাদা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে আমার ছোট ছেলে লাবিব ঘুম থেকে উঠে কিছু খেতে চাইলে আমি টাকা দিলে লাবিব দোকান থেকে কেক কিনে নিয়ে এসে খায়।
আমার বড় ছেলে জমিতে ধান কাটতে যাওয়ার পর ওর ভাবি রিমা আক্তার এসে বলে ‘মুরগি রান্না করেছি, চল তোকে ভাত খাওয়াব’। রিমা আক্তার আমার ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খাতিজা বেগম এসে আমার ছেলে লাবিবকে খোঁজ করলে আমি বলি ওর ভাবি নিয়ে গেছে।
লাবিবের চাচি দ্রুত তাকে খুঁজতে গিয়ে দেখে রিমা আক্তারের বিছানায় কম্বল দিয়ে শুয়ে আছে লাবিব। লাবিবকে তুলতে গিয়ে দেখে লাবিবের কপালে এবং গলায় দাগ। এরপর আমরা মাথায় পানি দিতে শুরু করলে রিমা আক্তার এসেও পানি দেয়। এরপর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার আমার ছেলে লাবিবকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের মানুষ এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হলে রিমা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী পিন্টুর কাছে দেবরকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশ রিমাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ রিমা পুলিশ পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
তিনি দাবি করেন, জমিজমার ভাগ নিতেই তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে রিমা। লাবিবের বাবার ৩-৪ বিঘা আবাদি জমি আছে।
পাঁচবিবি থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব জানান, রিমা স্বীকার করেছে যে সে লাবিবকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। তবে পুলিশের কাছে সে দাবি করে, শ্বশুর-শাশুড়ির মানসিক নির্যাতনের কারণে সে এ ঘটনা ঘটায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ