পাওনা টাকা দিতে না পারায়, মা-সন্তানকে হাত-পা বেঁধে ক্ষেতে ফেলে রেখে বসতঘরে আগুন জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়েছে পাওনাদার। ঘটনাটি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের সন্ন্যাসীকান্দা গ্রামে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটে এ ঘটনা।
ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম জানান, তার স্বামী শহিদ মোল্লা ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
বাড়িতে তিনি ও তার ছেলে থাকেন। স্বামীর সঙ্গে প্রতিপক্ষ একই এলাকার ইউনুস খানের ছেলে বশির খানের টাকা পাওনা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন রাত ২টার সময় বশির খান (৩৫) ও তার সাত-আটজন সাঙ্গোপাঙ্গ ওই ঘরের পেছনের খোলা জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তাকে ও তার ছেলে রাব্বিকে (১৮) প্রথমে ওড়না দিয়ে মুখ বাঁধে। এরপর রশি দিয়ে তাদের হাত ও পা বেঁধে বসতঘর থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে মুগডালের ক্ষেতে ফেলে রেখে ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গভীর রাতে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মা-ছেলেকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার আগেই ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকে বশির খান গাঢাকা দিয়েছেন। তাই তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ।
স্থানীয় আছিয়া বেগম (৫৫) বলেন, ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমরা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করেছি। শুনেছি টাকা পাওয়া নিয়ে বশির খার সঙ্গে শহীদ মোল্লার বিরোধ। ‘ মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমাদের কাছে বশির খান ৮০ হাজার টাকা পায়। ওই টাকা দিতে পারি নাই, এ কারণে ঘরে আগুন দিয়া দিছে। করোনা আর জিনিসপত্রের দামের কারণে আমাগো সংসারে অভাব। তাই কইছি পরে টাহা দিমু। কিন্তু বশির খা ঘরে আগুন দিয়া জ্বালা মিটাইছে। ‘
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ