সংবাদ শিরোনাম
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নে আয়েশা সিদ্দিকা নামের এক কলেজছাত্রীকে নিজ বাড়িতে সংবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মাঝিনা গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘরে একা থাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিন চৌধুরী আবু জানান, কলেজছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকার বাবা মোজাম্মেল হোসেন ঋণ খেলাপের দায়ে জেলখানায় রয়েছেন।
শুক্রবার দিনের বেলায় আয়েশা সিদ্দিকা তার চাচাতো ভাইয়ের দুই মেয়েকে নিয়ে স্বপ্নপুরি বিনোদন পার্কে ঘুরতে যান। পরে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে পৌঁছেন। এরপর ওই কলেজছাত্রী তার ভাতিজিদের পাশের ঘরে ঘুমাতে বলে নিজের শোবার ঘরে চলে যান। আজ শনিবার সকালে দুই ভাতিজি ঘুম থেকে উঠে দেখে, আয়েশা সিদ্দিকার ঘরের দরজা খোলা এবং তার বিবস্ত্র দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তারা চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা আসেন এবং ঘটনা জানাজানি হয়।
চেয়ারম্যান আরো জানান, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটির মুখে পায়জামা গুঁজে রাখা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার আয়েশা জয়পুরহাট সরকারি কলেজে স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একের অধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর সব জানা যাবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
