দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৭ এপ্রিল) লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন উভয় শেয়ারবাজারে সকাল থেকে সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন চলে। তবে সূচকের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। গত এক বছরের হিসাবে ডিএসইতে লেনদেনে অবনতি হচ্ছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০.০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৭৭.৬৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়া সূচক ২.৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫৩.৪৩ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৮.১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৬৬.১৬ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫২টির। এদিন ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৩২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা বেশি।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসইএক্স ১৯.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৬৭.৭৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সার্বিক সিএএসপিআই সূচক ৩২.৭১ পয়েন্ট বড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬১১.৭০ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক ০.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩১.৮৮ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪২টির। দিন শেষে সিএসইতে ১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি টাকা কম।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে