গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে তরমুজ অন্যতম। মিষ্টি স্বাদের এবং পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমকালে এটি খুবই উপকারী ফল। বেশ সহজলভ্য এ ফল শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেও পাওয়া যায়। তবে প্রজাতি আলাদা।
বিশ্বে মোট ১ হাজার ২০০ প্রজাতির তরমুজ উৎপাদন হয়। তবে জাপানে আছে তরমুজের একটি বিরল প্রজাতি। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি তরমুজ বলে জানা যায়।
দেখতে কালো এ তরমুজের জাপানি নাম ‘ডেনসুক’। এগুলোকে কালো তরমুজ বলা হয়। কেবল জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের উত্তরাঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে ডেনসুক তরমুজের বীজ ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।
এটি এত বিরল প্রজাতির তরমুজ যে, খুব কমসংখ্যক উৎপাদন হয়। বছরে গড়ে মাত্র ১০০টি ডেনসুক তরমুজ উৎপাদন হয় সেখানে। তবে ডেনসুক তরমুজগুলো বাজারের দোকানে পাওয়া যায় না। এগুলো বিক্রির জন্য আয়োজন করা হয় জমকালো নিলাম অনুষ্ঠানের।
নিলামে একেকটি তরমুজের দাম ওঠে কয়েক হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। ২০১৯ সালে একটি ডেনসুক তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ছয় হাজার ডলার। যার মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচ লাখ ২২ হাজার টাকা।
এগুলো বাইরে থেকে দেখতে উজ্জ্বল এবং কালো। ভেতরের অংশটি খাস্তা। অন্য তরমুজ থেকে এটি স্বাদে বেশ মিষ্টি এবং এখানে বীজ অনেক কম থাকে। এর স্বাদ অনেক বেশি সুস্বাদু। তবে এ জাতের তরমুজ শুধু প্রথম ফসলের ক্ষেত্রে খুব দামে বিক্রি হয়।
পরের ফসল থেকে যে ফল পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এমন দামে সব মানুষের পক্ষে এ তরমুজ খাওয়া সম্ভব নয়। এ তরমুজকে জাপানে বিলাসবহুল পণ্যের মধ্যে ধরা হয়। সাধারণত উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্যই এ তরমুজ মানুষ কিনে থাকে। সুন্দর প্যাকেজিংয়ের সঙ্গে নানা প্রশংসা বার্তাও দেওয়া হয় তরমুজের সঙ্গে।
সূত্র: ওডিটি সেন্ট্রাল
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ