টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে পার করার পর সোমবার (২৫ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
দিনের প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সূচক ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা জুড়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে।
এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সূচকের পতন প্রবণতা কিছুটা কমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৫ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৪ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময়ের মধ্যে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৬টির। আর ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৯৯ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ