শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করার অসুরকে প্রতিহত করতে হবে’ ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ: আসিফ মাহমুদ বসনিয়ার মাঠে কষ্টের জয় জার্মানির পূজা পরিদর্শনে বিকেলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছেন ড. ইউনূস ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলো নিকারাগুয়া অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন মারা গেছেন মধ্যরাত থেকে ২২ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ শান্তিতে নোবেলজয়ী সংস্থাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন বাতিল হচ্ছে না আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি দুর্গোৎসবে আজ মহানবমী দক্ষিণ সুদানে হামলায় নিহত ২৪ শান্তিতে নোবেল জিতলো জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে: সেলিমা রহমান ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হলো হামলায় ডিমের দাম বৃদ্ধি, সেটা কারসাজি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার পূজা উদযাপন কমিটির নেতার অনুরোধেই মণ্ডপে যান শিল্পীরা : পুলিশ ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করে আসছে’ বিএনপির নাম করে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী ১০০ টাকার ওপরে সবজির কেজি, কাঁচামরিচ ৪০০ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে ইসরায়েলি হামলা, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

নির্বাচনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি কমিশন

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিন বছর চার মাস পার হয়ে যাচ্ছে। আলোচনা শুরু হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। কবে হবে, তা-ও কেউ বলতে পারছে না।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন এ প্রতিবেদন প্রকাশের ব্যবস্থা না করেই বিদায় নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন এখন যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে এই পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে পারে।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত একপক্ষীয় ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া সব জাতীয় নির্বাচনেই আগের নির্বাচন কমিশন পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসেছে। এই প্রতিবেদনগুলোতে নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীসহ ৩২ ধরনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে পরের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তা প্রকাশ করা হয়েছিল।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তখনকার নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ২০০২ সালের এপ্রিলে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন পাওয়া যায়। কমিশনের পাঠাগারেও পুস্তকাকারে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে এসব প্রতিবেদন সংরক্ষিত আছে।

নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন নির্বাচনী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি প্রকাশ না করাটা দুঃখজনক। এক ধরনের দায়িত্বহীনতাও বটে। বিশেষ করে যেখানে গত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা সমালোচনা আছে।

এবার কেন এই পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি—জানতে চাইলে কে এম নুরুল হুদা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য মাহাবুব তালুকদার সম্প্রতি বলেন, ‘এটি প্রকাশ করার বিষয়ে কমিশনে কখনো আলোচনা হয়েছে কি না, আমার মনে পড়ছে না। তবে নাগরিক সংগঠন ‘সুজন’ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার তথ্য অধিকার আইনে ওই নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল চাইলে, তা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ’

তবে একই কমিশনের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার তো মনে হয় আমরা অনুমোদন দিয়ে এসেছিলাম। প্রকাশিত হয়েছে কি না, তা বলতে পারছি না। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তরা এটা বলতে পারবেন। ’

কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গতকাল বলেন, ‘আমি ২০২০ সালের জুন মাসে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দেওয়ার পর এ বিষয়ে কোনো আলোচনার কথা জানি না। বিদায় নেওয়া কমিশন এ বিষয়ে কোনো অনুমোদন দিয়ে গেছে বলেও আমার জানা নেই। আমার ধারণা, এ ধরনের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশের দায়িত্ব যে কমিশনের অধীন নির্বাচন হয়, সেই কমিশনের। ’

বিষয়টিকে দায়িত্বহীনতা হিসেবেই দেখছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক।  তিনি বলেন, এটি না করা দুঃখজনক। এ ধরনের প্রতিবেদন দেশের নির্বাচনের ইতিহাস হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। এরশাদ সরকারের সময়ে নির্বাচনের অনেক তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছিল। পরে সেগুলোর আংশিক উদ্ধারও করা হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, এটি বিগত কমিশনের দায়িত্বহীনতারই আরেকটি দৃষ্টান্ত। এখন কেউ যদি সন্দেহ করে, তথ্য-উপাত্তে গরমিল থাকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি; তাহলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে না।

জানতে চাইলে বর্তমান কমিশনের সদস্য মো. আলমগীর গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘পরিসংখ্যান প্রতিবেদন আজও প্রকাশিত হয়নি, এ তথ্যটি কমিশন সচিবালয় থেকে আমাদের জানানো হয়নি। গত ৫ এপ্রিল আমাদের কমিশনের প্রথম সভা হয়। ওই সভায়ও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আগামী রবিবার আমি এই বিষয়ে খোঁজ নেব। ’

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com