বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে সাম্প্রতিক সময় চুরি,ডাকাতি,খুন,ধর্ষণ,সন্ত্রাসী কর্মকান্ডও মাদকাসক্তের সংখ্যা আশংকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে। এতে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতেৃবৃন্দ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি। সভায় উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যই তাদের বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন এবং অবনতির জন্য বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীকে দায়ী করেন। বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাজিরপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম ফারুক বলেন, “ওসি বাউফল থানাকে ঘুষ বানিজ্যিক কেন্দ্রে পরিনত করেছেন। তিনি সময়মত অফিসে আসেন না।
কেই মামলা করলে প্রতিপক্ষকে ডেকে এনে কাউন্টার মামলা করান”। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগা ইউপি’র চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, “বাউফল থানার ওসি মাদক প্রতিরোধও সন্ত্রাস দমনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বর্তমানে বাউফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেভাবে অবনতি ঘটেছে অতীতে কখনও এ রকম অবনতি হয়নি। তিনি ওসিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন,বাউফলকে যদি সন্ত্রাস মুক্ত করতে না পারেন তাহলে বলুন ১০ মিনিটের মধ্যে আমরা বাউফলকে সন্ত্রাস মুক্ত করবো”।
এ বিষয় বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, বাউফলে আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি ঘটেনি। দেশের অন্যান্য থানার চেয়ে বাউফলে আইনশৃঙখলার পরিস্থিতি ভাল। তবে এখানে আওয়ামীলীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল থাকায় মাঝে মাঝে পরিস্থিতি অশান্ত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস