সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দিয়েছে। সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতনের সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এমনকি দাম কমার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে প্রায় একশ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয়াদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে আছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট কমেছে। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৭১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে ৮০টি প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়েছে দেড়শ কোটি টাকার কম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৬ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই নিম্নমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের পতনের মাত্রা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ২২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৪৭ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৮টির। আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৫ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৬৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন