বাংলা৭১নিউজ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার ৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রমজান ও ঈদের ছুটি শেষে শনিবার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই কুলাউড়ার ভূকশিমইল, জয়চণ্ডী, কাদিপুর, ভাটেরা, ব্রাহ্মণবাজার, ভাটেরা, হাজীপুর, ও শরীফপুর ইউনিয়ন এবং কুলাউড়া পৌরসভায় ৪৪টি প্রাথমিক ও ১০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। এ ছাড়া জুড়ীর জায়ফরনগর, পশ্চিম জুড়ী ও সাগরনাল ইউনিয়নে ২০টি প্রাথমিক এবং ১৬টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়।
জুড়ীর কালনীগড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ দাস মুঠোফোনে বলেন, ‘স্কুলের রাস্তা ও ভেতরে এক থেকে দেড় ফুট পানি। পানিবন্দী থাকায় আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না।’
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাজন কুমার সাহা বলেন, বন্যাপ্লাবিত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ-ই যেতে পারছেন না। তাই এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা সদরে অবস্থিত মক্তদীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। এটিও তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে ৬ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী বলেন, ওই দিন থেকেই বিভিন্ন শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এ অবস্থায় কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটাই তাঁরা ভাবছেন। এ ব্যাপারে তাঁরা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। তবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
কুলাউড়ার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, হাকালুকি হাওরের একবারে পাশে হওয়ায় ভূকশিমইল ইউনিয়নের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।
জুড়ীর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে এলাহি রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস