সাভারে ছয় হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন হওয়া সাকিব আল মামুনের (১৮) মরদেহ উদ্ধারের ৩ ঘণ্টার মাথায় প্রধান আসামি পিয়াসকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রবিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক ও ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান। এর আগে রাতেই অভিযান চালিয়ে বলিয়ারপুরের কুন্ডা কোটপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন তিনি।
গ্রেপ্তার প্রধান আসামি আব্দুল আরমান পিয়াস (১৮)। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি নিহত সাকিব আল মামুনের বন্ধু ছিলেন বলে জানা গেছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইমন (১৮) ও মিজানুর রহমানের ছেলে নাবিনসহ (১৮) অজ্ঞাতনামা আরো দু-তিনজন।
নিহত সাকিব আল মামুন বলিয়াপুরের কুন্ডা কোটপাড়া এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। তিনি আমিন বাজার এলাকার মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পথচারীদের খবরের ভিত্তিতে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের কোটাপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মামুনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা করা হয়। এর আগে গত ১৭ মার্চ নিখোঁজ হয় মামুন।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই নিহতের বড় ভাই রাকিব মিয়া তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মরদেহ উদ্ধারের তিন ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেন উপপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান।
নিহত সাকিব আল মামুনের বড় ভাই রাকিব বলেন, আমার ভাই মোটরসাইকেল কিনতে চেয়েছিল। আমাদের সামর্থ্য না থাকায় পরে কিনে দিতে চাই। সে নিজেই মোটরসাইকেল কেনার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরি নিয়ে টাকা জমানো শুরু করে। সেই জমানো টাকা থেকে পিয়াস ৬ হাজার টাকা ধার নেয়। এই টাকা চাইলে তারা সাকিবকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৭ মার্চ তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুড়িকাঘাত করে হত্যা করে। এর পর কোটাপাড়া এলাকার কাশেমের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেয়। গত ১৭ মার্চ থেকে আমাদের পরিবারের কারো চোখে ঘুম নেই। খোঁজাখুজি করে না পেয়ে আমরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। পরে শনিবার আমাদের বাড়ি পাশের মহল্লার একটি নির্মানাধীন একতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে অর্ধগলিত সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ